নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৩:৫৮ পিএম
মা, হৃদয়ের গভীর থেকে আসা ছোট্ট একটা ডাক। জীবনের সবচেয়ে কাছের মানুষটি মা। যার শরীর বেয়ে এই পৃথিবীতে আসা, যার আদর-যত্নে বেড়ে ওঠা। যার জীবনের সবটুকুজুড়ে সন্তানকে ভালো রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা। জন্ম নেওয়ার পর ‘ওয়া’ বলা থেকে শুরু করে ‘ওমা’ বলার পুরোটা সময় যে মানুষটি নিঃস্বার্থভাবে আমাদের পাশে থাকেন, তিনি হলে মা। ছোট্ট একটি শব্দ মা। যার ভার অনেক বেশি। নাড়ীর সম্পর্ক যে নারীটির সঙ্গে তিনিই মা। নিজের সবটুকু সুখ যিনি সন্তানের জন্য বিসর্জন দিতে সদা প্রস্তুত থাকেন।
নিঃস্বার্থ ভালোবাসার আধার একজন মা। সন্তানকে জন্ম দেওয়ার পর মায়েদের রাত বা দিন বলে আলাদা কিছু থাকে না। ঘুম, খাওয়া নিয়ে ভাবার কোনো সময় থাকে না। সন্তানের সর্বোচ্চ সুখ আর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হয়ে ওঠে একজন মায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সন্তানের বিপদ কীভাবে মা আগাম টের পেয়ে যান তার ব্যাখা জ্যোতিষশাস্ত্র করতে ব্যর্থ হয়। সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিলে কীভাবে মায়েদের পেট ভরে তার ব্যাখা খুঁজে পাননি কোনো চিকিৎসক।
সন্তানদের জন্য নিজের পুরোটা উৎসর্গ করে দেওয়ার পরও মায়েদের কিছু চাওয়ার থাকে না। সন্তানের সুখেই নিজের সুখ খুঁজে নেন তারা। তবুও সন্তান হিসেবে মায়ের প্রতি কর্তব্য রয়েছে সবার। যে মানুষটি আপনাকে গড়ে তুলতে সবচেয়ে বেশি শ্রম দিয়েছেন, তার মুখে হাসি ফোটানোর দায়িত্বও আপনার। অবশ্য মায়েদের খুশি করতে খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন হয় না। একটি ফুল কিংবা কমদামী একটি চায়ের ছাঁকনিই মায়ের ঠোঁটে এনে দিতে পারে অমূল্য হাসি।
মাকে নিয়ে গল্প, কবিতা, গানের যেন শেষ নেই। ‘মা তুমি আমার আগে যেও না গো মরে/আমি কেমন করে দেবো মাটি তোমার কবরে’- শিল্পী পলাশের এ গান শুনে কার না মন কেঁদে উঠেছে! কিংবা হেমন্ত কুমারের ‘পথের ক্লান্তি ভুলে স্নেহভরা কোলে তব/মা গো, বলো কবে শীতল হবো’ গান শুনে চোখ বুঝলে মায়ের মুখ দেখতে পেয়েছেন কতশত সন্তান।
জগতের বিশুদ্ধতম সম্পর্কগুলোর একটি হলো মা-সন্তানের সম্পর্ক। একজন মা ই জানেন, নিজের উদরে একটি প্রাণকে বড় করে তুলে তাকে এই পৃথিবীর আলো দেখানোর কী আনন্দ! প্রচণ্ড কষ্ট, যন্ত্রণা ম্লান হয়ে যায় যখন সন্তানের মুখ একজন মা দেখতে পারেন। বড় হয়ে তাই প্রতিটি সন্তানের উচিত মায়ের জন্য কিছু করা। মায়ের ভালো থাকা নিশ্চিত করা। মাকে ভালোবাসা। কারণ, মায়ের মতো ভালোবাসা আর কেউ দিতে পারে না।