সিয়াম ইসলাম প্রকাশিত: ১২ মার্চ, ২০২৫, ০৬:৪৩ এএম
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুরু হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। প্রথম দিনের শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী বুধবার দিন ধার্য করেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ।
এর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানির জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিজ খরচে কাগজপত্র তৈরির অনুমতি দেন হাইকোর্ট।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কোনো করুণা চান না। তিনি মামলাটি আইনিভাবে নিষ্পত্তি করতে চান। তাই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি দ্রুত করতে চাই। আপিল শুনানির জন্য আদালত আমাদের নিজস্ব খরচে পেপার বুক প্রস্তুত করার অনুমতি দিয়েছেন।
2018 সালের অক্টোবরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে অন্য তিন আসামিকেও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। খালেদা জিয়াসহ সবাইকে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া কাকরাইলে ট্রাস্টের নামে কেনা ৪২ খাতা জমি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া।