Dhaka, বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
logo

কুমিল্লায় জাপানি সৈনিকদের দেহাবশেষ উত্তোলন, করা হবে ডিএনএ পরীক্ষা


নিজস্ব প্রতিবেদক   প্রকাশিত:  ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৮:১০ এএম

কুমিল্লায় জাপানি সৈনিকদের দেহাবশেষ উত্তোলন, করা হবে ডিএনএ পরীক্ষা

কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি (যুদ্ধসমাধি) থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ২৩ জন জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সৈনিকের দেহাবশেষের কিছু অংশ ডিএনএ পরীক্ষার জন্য জাপান নেওয়া হবে। ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেলে পরবর্তী সময়ে ঢাকায় সংগ্রহে থাকা সৈন্যদের দেহাবশেষ জাপানে নেওয়া হবে। তবে ডিএনএ না মিললে আবার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে দেহাবশেষ রাখা হবে।

গত ১৩ নভেম্বর দেহাবশেষ উত্তোলন কাজ শুরু করে টানা ১০ দিন পর কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি থেকে জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কাজ শেষে রবিবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকায় জাপান দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন জাপানের সাত সদস্যের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দলনেতা ইনোওয়ে হাসোয়েকি।

 

ইনোওয়ে হাসোয়েকি বলেন, ময়নামতিতে ২৪ জন জাপানি সৈনিকের মধ্যে ২৩ জনের দেহাবশেষ আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি। সংগৃহীত অংশের কিছু জাপানে নিয়ে যাওয়া হবে ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য, বাকি অংশ এখানে (ঢাকায়-জাপান দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে) থাকবে। জাপানে ডিএনএ পরীক্ষা করার পর যদি দেখা যায় এটা জাপানি সৈন্যের না, তখন আমরা ময়নামতিতে কবরে নিয়ে আসব; আবার সেখানে সংগ্রহ করা হবে। আর যদি ডিএনএ পরীক্ষায় ম্যাচ করে তাহলে ঢাকায় সংগ্রহে রাখা অংশ সম্পূর্ণভাবে জাপানের নেওয়ার প্রক্রিয়া করা হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় ৮১ বছর পর গত ১৩ নভেম্বর কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ২৪ জন জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করে জাপান। জাপান সাত সদস্যের একটি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দল ২২ নভেম্বর পর্যন্ত দেশটির সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়া কাজ শেষ করেছে। তবে, এর মধ্যে একজন সৈনিকের দেহাবশেষ খুঁজে পায়নি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দল।

কুমিল্লার এই ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত বিশ্বের ১৩টি দেশের ৭৩৭ জন সৈনিককে এখানে সমাহিত করা হয়। কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশন এ যুদ্ধ সমাধিক্ষেত্র তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে আসছে।