Dhaka, শুক্রবার, ডিসেম্বর ২০, ২০২৪
logo

শেরপুরে লছমনপুর দরবার শরীফে হামলা ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ : আটক ৭


নিজস্ব প্রতিবেদক   প্রকাশিত:  ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:৪৩ পিএম

শেরপুরে লছমনপুর দরবার শরীফে হামলা ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ : আটক ৭

 

মনিরুজ্জামান মনির শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:

শেরপুরে খাজা বদরুদ্দোজা ওরুফে দোজা পীরের মুর্শিদপুর দরবার শরীফে হামলা ভাংচুর লুটপাট অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার ভোর রাতে সদর উপজেলার লছমনপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হয়ে হাসাপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৭ জনকে আটক করেছে।

এঘটনায় দরবার শরীফের খাদেম মাহমুদান মাসুদ বাদী হয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সুপারসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ আরও অন্তত ৪০০/৫০০  অজ্ঞাতনামা আসামী করে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ ও দরবার কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়,  আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকেই স্থানীয় একটি মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক ও এলাকাবাসী দরবার শরীফের কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছিলেন। এর পরই মীমাংসার জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুই পক্ষ কে বসার জন্য ডিসি মহোদয় ডেকে ছিলেন কিন্তু আমরা দরবার শরীফ কর্তৃপক্ষ গিয়েছিলাম তারা সেই বৈঠকে যায়নি। এরপর থেকেই বেশ কয়েকদিন যাবত দরবার শরীফের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তাদের অভিযোগ পীরের দরবার শরীফের ভিতরে ইসলাম পরিপন্থী কার্যকলাপ হয়। হঠাত করেই মঙ্গলবার ভোর রাতে স্থানীয় মাদ্রাসা শিক্ষক তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে  ৪০০থেকে ৫০০জন মানুষ নিয়ে মুর্শিদপুর দরবার শরীফে হামলা চালিয়ে টিনের বেড়া ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। ওই সময় দরবারে থাকা খাদেম ও  মুরীদরা বাধা দিতে গেলে উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ ঘটনায় হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে তরিকুল ইসলাম বলেন, মীমাংসার কথা বলে আমাদেরকে ডেকে নিয়ে আমাদের লোকজনদেরকে মারধর করেছেন। তারা নিজেরাই দরবারের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে তার দায় এলাকাবাসীর উপর চাপাচ্ছেন।

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জুবায়দুল  আলম বলেন, মুর্শিদপুর দরবার শরীফের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযেগে ৭জনকে আটক করেছে পুলিশ।