Dhaka, বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
logo

কক্সবাজারে সমুদ্র উপকূলে পড়ে থাকা প্লাস্টিক দিয়ে বানানো হলো 'রোবট দানব'


নিজস্ব প্রতিবেদক   প্রকাশিত:  ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৬:১০ এএম

কক্সবাজারে সমুদ্র উপকূলে পড়ে থাকা প্লাস্টিক দিয়ে বানানো হলো 'রোবট দানব'

দূর থেকে দেখলে মনে হবে এটি একটি রোবট। কিন্তু আসলে এটি দৈত্যাকার একটি ভাস্কর্য, যা তৈরি হয়েছে সমুদ্র উপকূলে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত প্লাস্টিক দিয়ে। একদল স্বেচ্ছাসেবী এই ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছেন। সমুদ্রের প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহতা রোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কক্সবাজার সৈকতের বেলাভূমিতে তৈরি হয়েছে এই ভাস্কর্য, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘রোবট দানব’। এটি নির্মাণে উদ্যোগ নিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। সৈকতের সুগন্ধা সিগাল পয়েন্টে প্রদর্শন করা হচ্ছে ওশান প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে তৈরি এই বিশেষ ভাস্কর্য। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈকতের সিগাল পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি ভয়ংকর এই ‘রোবট দানব’ প্রথম দর্শনে ভয়ের সৃষ্টি করলেও, কাছে গেলেই স্পষ্ট হয় এর বার্তা। দানবটির দেহে প্রতীকীভাবে দেখানো হয়েছে প্লাস্টিক দূষণের কারণে প্রাণ-প্রকৃতি ও মানবজীবনের ক্ষয়ক্ষতি। এটি রক্ত-মাংসহীন হলেও এর হিংস্র থাবা যেন দূষণের ভয়াবহতাকে ফুটিয়ে তুলেছে।আয়োজকদের মতে, প্রতিদিন লাখো পর্যটক কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন। কিন্তু তারা সৈকতের বালিয়াড়ি ও সাগরের পানিতে ফেলে যাচ্ছেন বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য, যা মারাত্মক দূষণের সৃষ্টি করছে এবং সামুদ্রিক জীব ও মানবজীবনকে হুমকির মুখে ফেলছে। এই পরিস্থিতিতে জনসচেতনতা তৈরি এবং প্রাণ-প্রকৃতিকে রক্ষার বার্তা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হয়েছে ‘রোবট দানব’।

ভাস্কর ও শিল্পীদের দাবি, এটি উপকূল ও সমুদ্র থেকে সংগ্রহ করা প্লাস্টিক বর্জ্য (ওশান প্লাস্টিক) দিয়ে তৈরি বিশ্বের সর্ববৃহৎ রোবট দানব। ৬২ ফুট উঁচু এই ভাস্কর্য তৈরিতে প্রায় ১০ মেট্রিক টন প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক মুহাম্মদ মুবারক জানিয়েছেন, কক্সবাজার, ইনানী ও টেকনাফ সৈকত থেকে প্রায় এক মাস ধরে সংগ্রহ করা হয় ১০ মেট্রিক টন সামুদ্রিক প্লাস্টিক বর্জ্য। এসব বর্জ্য দিয়েই তৈরি হয়েছে এই বিশেষ ‘রোবট দানব’।