ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে শতভাগ মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজা। বাংলাদেশ বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের অবস্থান নিয়ে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করার জন্য বাংলাদেশে একটি গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তার সরকারের এমপি, মন্ত্রীসহ কিছু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা হয়েছে। কারও কারও ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের মুসলিম কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি যেমন ভাঙচুর করা হয়েছে, তাদের হিন্দু কর্মীর বাড়িঘরও ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে সেটা ঠিক এমন না- যা দিয়ে বড় রকম হইচই ফেলে দেওয়া যায়। অধিকাংশ জায়গায় হামলা হয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থক ও আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে। ধর্মের কারণে হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘দেড় দশকের বেশি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার অপশাসন চলেছে। সেই অপশাসনের সময়ও দু’- চারটে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। এমন ছোট ছোট দুই একটি ঘটনা আছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন আসে ভারতীয় গণমাধ্যম কী প্রচার করছে? তারা বলছে শত শত হিন্দুকে হত্যা করা হচ্ছে। যার কোনো সত্যতা নেই। তারা বলছে হিন্দুরা খুব খারাপ আছে। এর কোনো সত্যতা নেই। ভারতীয় গণমাধ্যম সবচেয়ে বড় রকমের অপরাধ করছে। তারা এখনকার দুই-একজন হিন্দুর বক্তব্য প্রচার করে ৫ আগস্টের আগের ভিডিও— যেখানে শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেছিল সেইসব ভিডিও যুক্ত করে দিচ্ছে। আনন্দবাজারের মতো পত্রিকা এ রকম কাজ করছে। তার মানে তারা শতভাগ প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে।’
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘ভারতের একটি কালি মন্দির ভাঙার দৃশ্য দেখিয়ে বলা হচ্ছে বাংলাদেশে মন্দির ভাঙা হচ্ছে। যার কোনো সত্যতা নেই।’ এছাড়া সম্প্রতি চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে হত্যার পর ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রচার করলো- তিনি চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবী, এ জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে। অথচ তিনি চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবী নন।’