Dhaka, বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
logo

রাশিয়ার বড় বড় পোশাক কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের পরিকল্পনা


নিজস্ব প্রতিবেদক   প্রকাশিত:  ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫২ পিএম

রাশিয়ার বড় বড় পোশাক কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের পরিকল্পনা

শ্রমিক সংকট এবং উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে রাশিয়ার অন্যতম বড় পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কারখানা বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছে। এসব কোম্পানির মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার শীর্ষস্থানীয় পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোরিয়া জিনস, যা দেশজুড়ে ১৮টি কারখানা পরিচালনা করে।

রাশিয়ার পোশাকশিল্পে দক্ষ কর্মীর ঘাটতি গভীর আকার ধারণ করেছে। ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। একইসঙ্গে রাশিয়ায় তৈরি কাঁচামাল এবং আনুষঙ্গিক উপকরণের মান নিম্নগামী হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী পণ্য আমদানির দিকে ঝুঁকছেন।

 

রুশ গণমাধ্যম কমারসান্ত এবং ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে, শ্রমিক সংকট ছাড়াও সেলাই যন্ত্রপাতি আমদানি কঠিন হয়ে পড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার পোশাক খাতের সরঞ্জাম আমদানি ও পরিশোধ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

সালস্ক শহরে একটি সেলাই কারখানা ইতিমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে। কর্মীদের অন্য কারখানায় স্থানান্তরের প্রস্তাব দেওয়া হলেও রস্তভ এলাকার কারখানাগুলোও সংকটে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

একসময় চীন ছিল রাশিয়ার পোশাকশিল্পের প্রধান উৎপাদনকেন্দ্র। তবে চীনে শ্রমিক মজুরি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় রুশ ব্র্যান্ডগুলো এখন বাংলাদেশের মতো সাশ্রয়ী শ্রম বাজারের দিকে নজর দিচ্ছে।

ফ্যাশনশিল্পের একজন প্রতিনিধি জানান, “বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম এবং উজবেকিস্তান রুশ পোশাকশিল্পের জন্য চীনের তুলনায় বেশি আকর্ষণীয়। কারণ এই দেশগুলোতে শ্রমিক মজুরি কম, শিল্পসুবিধা উন্নত, এবং কাঁচামালের সরবরাহ স্থিতিশীল।”

বাংলাদেশের পোশাকশিল্প বিশ্ববাজারে সুনাম অর্জন করেছে। তুলনামূলক কম উৎপাদন খরচ, দক্ষ শ্রমশক্তি, এবং উন্নত কারখানাগুলো বাংলাদেশকে রাশিয়ার জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারে।