সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টোরপোল রেড নোটিশ জারি করেছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে রোববার (২২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সঙ্গে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করেছে কিনা তা আমরা জানি না। তবে আমরা ইন্টাপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন করেছি।
গত ৫ আগস্ট পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয় শেখ হাসিনা। খুনের দায়ে অভিযুক্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে ভারত। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাকে দেশে ফেরানোর আবেদন করা হলেও ভারত তাতে কর্ণপাত করছে না। তবে সত্যিই যদি ইন্টারপোল শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারে রেড নোটিশ জারি করে তবে ভারতের আর কিছু করার থাকবে না। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতাকে হত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা রয়েছে।
গত ১০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় শেখ হাসিনা ও পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে চিঠি দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। পরে ১২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন সংস্থা থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ১৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মামলায় পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা,ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অন্যান্য যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় তারা হলেন, শেখ হাসিনা বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, দীপু মনি, আ ক ম মোজাম্মেল হক, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শেখ সেলিম, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলে শামস পরশ, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ মামুন, ডিবি হারুন, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, সাবেকডিএমপি হাবিবুর রহমান, সাবেক র্যাব ডিজি হারুন অর রশিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা তারেক আনাম সিদ্দিকী,বিচারপতি মানিক, ড. জাফর ইকবাল, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামসহ ৪৬ জন।