নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৯:২৭ পিএম
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আলীপুর মৎস্য বন্দরে ১৯৫ মণ ইলিশ নিয়ে ঘাটে এসেছে একটি মাছ ধরার ট্রলার। মাছগুলো ডাকের মাধ্যমে ৪০ লাখ ১৪ হাজর টাকায় বিক্রি করা হয়।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে আলীপুর মৎস্য বন্দরের মেসার্স ফাইভ স্টার নামের একটি আড়তে এ মাছগুলো নিয়ে আসা হয়। মাছগুলো মূলত গত মঙ্গলবার ও বুধবার কুয়াকাটা থেকে পূর্ব-দক্ষিণ দিকে ৯০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে ধরা পড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এফ বি বিসমিল্লাহ-১ নামের মাছ ধরা ট্রলারটি গত ৬ জানুয়ারি আলীপুর ঘাট থেকে ১৭ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে ফিশিং করতে যায়। চার দিন সমুদ্রের বিভিন্ন এলাকায় জাল ফেলে কাঙ্ক্ষিত মাছগুলো ধরা পড়েছে। মাছগুলো আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে এসে তিনটি সাইজে আলাদা করা হয়। তবে মাছের সাইজ ছোট হওয়ায় দাম কম পেয়েছে। ৬০০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের মাছ প্রতি মণ ৪০ হাজার টাকা, ৪০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতিমণ মাছ ২৫ হাজার টাকা এবং ছোট সাইজের প্রতি মণ মাছ ১৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ৫৪ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪০ লাখ ১৪ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে।ট্রলারের মাঝি একলাস গাজী বলেন, গত রোববার আলীপুর ঘাট থেকে ১৭ জন জেলে সমুদ্রে যাই। ফিশিং করতে করতে কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর সমুদ্রে জাল ফেলে মাছগুলো পেয়েছি। বর্তমানে সমুদ্রে মাছ ধরা পড়েছে না। এরমধ্যেও মহান আল্লাহ মাছ দিয়েছেন।
এফবি বিসমিল্লাহ-১ ট্রলারের মালিক খলিলুর রহমান খান বলেন, অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছে। আমাদের লোকসান গুণতে হচ্ছিল। এই মাছ বিক্রি করে আগের লোকসান কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবো।
মেসার্স ফাইভ স্টার মৎস্য আড়তের পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, সচরাচর শীত মৌসুমে এত ইলিশ মাছ ধরা পড়ে না। তবে অনেকদিন পর ঘাটে এতো পরিমাণ মাছ আসায় খুশি ট্রলার মালিক জেলে ও মৎস্য আড়তদার সবাই। ডাকের মাধ্যমে মাছগুলো একাধিক পাইকারদের কাছে বিক্রি করা হয়।
এ বিষয় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, শীতকাল ইলিশের ভরা মৌসুম না হলেও মোটামুটি ইলিশের দেখা মেলে সব ট্রলারগুলোতে। তবে একটি ট্রলারে এত পরিমাণ মাছ এটা সত্যিই অবাক করার মতো। বছরের দুইবার সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে পালন হওয়ার জ্বলন্ত প্রমাণ হচ্ছে এরকম ট্রলার ভর্তি মাছ।