Dhaka, রবিবার, জানুয়ারী ১৯, ২০২৫
logo

চারঘাট সঃ প্রাঃ শিক্ষা অফিসারের অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষক সমিতির ক্ষোভ


নিজস্ব প্রতিবেদক   প্রকাশিত:  ১৮ জানুয়ারী, ২০২৫, ০১:০১ পিএম

চারঘাট সঃ প্রাঃ শিক্ষা অফিসারের অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষক সমিতির ক্ষোভ

 

ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী

রাজশাহী চারঘাট উপজেলা সরকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষক সমিতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শিক্ষক বদলি, সরকারী বরাদ্দ (স্লিপের টাকা), কার্যালয়ের কর্মসূচীর কার্যক্রম বিলম্বসহ একাধিক অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষক সমিতির সদস্যবৃন্দ। 

বর্তমান উপজেলা প্রাথমকি শিক্ষা অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার। তিনি গত ২৩ আগষ্ট ২২ তারিখ দায়িত্ব গ্রহন করেন। আ’লীগ সরকারের সময় থেকে তিনি নানা অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। উপজেলার ৭৩টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫শত জন শিক্ষক নিয়োগ রয়েছেন। ওই সকল শিক্ষক ও শিক্ষিকার দাপ্তরিক নানাবিদ কাজের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনতে হচ্ছে। শিক্ষা অফিসার তার নিজ খেয়াল খুশি মতো কাজ করেন। শিক্ষক সমিতির সঙ্গে প্রাসঙ্গিক আলাপচারিতায় তিনি বসেন না বলে, অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষক সমিতি। 

বৃহস্পতিবার সকালে চারঘাট রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে (সিআরইউ) উপস্থিত হয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক আবু হাসনাত শাহিম ( শিক্ষক-পাটিয়াকান্দি সঃ প্রা: বিদ্যা:) বলেন, বিগত সরকারের সময় থেকে নানবিদ সমস্যার সম্মুখীন উপজেলার শিক্ষক। ভুতুড়ে আদেশের মাধ্যমে অর্থ লোপাট। স্লিপের টাকা বরাদ্দের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়া। দাপ্তরিক কোন প্রজ্ঞাপন প্রকাশ্য না করে আদেশ জারি করেন। বহিরাহত শিক্ষক বদলিতে অপ্রাসঙ্গিক দাবিসহ বিবিধ অভিযোগ রয়েছে ওই শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে। 

প্রসঙ্গত, শিক্ষক সমিতির সভাপতি শাহাদৎ হোসেন (শিক্ষক-জাফরপুর স: প্রা: বিদ্যা:) এই পত্রিকার প্রতিনিধিকে জানান, বর্তমান শিক্ষা অফিসারের সহযোগিতায় বহিরাগত শিক্ষক এই উপজেলায় চাকুরী করছেন। যা সরকারী আদেশের বহির্ভূত। ইতোমধ্যে উপজেলার রাওথা এবং চক বেলগড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুইজন শিক্ষক যোগদান করেছেন। তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার নামে ৭৩টি স: প্রা: বিদ্যালয়ের নিকট মৌখিক ১৫ হাজার টাকা জমা দেয়ার আদেশ দেন। যার কোন লিখিত আদেশ তিনি দেখাতে পারেন নি। দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে ১৮হাজার শিক্ষকের চাহিদার নথিপত্র শিক্ষা দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে চারঘাট উপজেলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। কিন্ত শিক্ষকের চাহিদা শিক্ষা দপ্তরে প্রেরণ করা হয়নি। শিক্ষা অফিসার দাপ্তরিক কাজে বিলম্ব হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি ওই বিষয় এরিয়ে যান। 

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তিনি ডিজির অধীনস্ত চাকুরী করছেন। উর্ধ্বতন কর্মকর্তার আদেশ অমান্য করা তার পক্ষে সম্ভব না। দুইজন শিক্ষক এই উপজেলায় চাকুরী করছেন। তবে তার মধ্যে একজন সংযুক্তি আছেন এবং অপরজন ডিজি মহোদয়ের আদেশ। কার্যালয়ের বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজের চাপে অনেক সময় বিলম্ব হতে পারে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে দাপ্তরিক আদেশ ছিল এবং অর্থের পরিমান ১৫ হাজার টাকা উল্লেখ্য। যার মধ্যে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অগ্নী নির্বাপক যন্ত্র রাখা অত্যাবশ^ক। তবে সম্প্রতী ওই অর্থ জমা দেয়ার আদেশ নেই। পরবর্তীতে নুতন কোন আদেশ আসলে তা দাপ্তরিকভাবে অবগত করা হবে।