Dhaka, সোমবার, জানুয়ারী ২০, ২০২৫
logo

আজ জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী


নিজস্ব প্রতিবেদক   প্রকাশিত:  ১৯ জানুয়ারী, ২০২৫, ০২:১৪ পিএম

আজ জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী

বহুদলীয় গণতন্ত্রের রূপকার, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীর নশিপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। রসায়নবিদ মনসুর রহমান ও জাহানারা খাতুন রানী দম্পতির পাঁচ ছেলের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়। তার ডাকনাম কমল। সাবেক এই রাষ্ট্রপতির শৈশব ও কৈশোর কাটে বগুড়া ও কলকাতায়।

 

শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৫৩ সালে জিয়াউর রহমান যোগ দেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার এবং জেড ফোর্সের প্রধান হিসেবে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতার দৃশ্যপটে আসেন জিয়াউর রহমান। রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন ১৯৭৭ সালে। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। রাজনীতিতে নতুনত্ব আনেন ১৮ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে। তার হাত ধরেই দেশে উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি শুরু হয়। চার বছরের শাসনামলে কৃষি উৎপাদন, গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশ, জনশক্তি রপ্তানি, নতুন কল কারখানা স্থাপনসহ স্বনির্ভরতা অর্জনে জিয়াউর রহমানের উদ্যেগ সাড়া জাগায়। ১৯৮১ সালের ৩০ মে একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে নিহত হন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।

যেসব কর্মসূচি আছে বিএনপির

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সকাল ১১টায় শেরেবাংলানগরে তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা।

দুপুর ২টায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিউট মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বক্তব্য দেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্টজনেরা।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

এছাড়া বেলা ৩টা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিউটে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বিএনপির শরীক দলের নেতারা। এতে বক্তব্য দেবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্নয়ক জোনায়েদ সাকিসহ জাতীয় নেতারা।

জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘জিয়া স্মৃতি ক্রিকেট টূর্নামেন্ট’ আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। ২৬ থানার অংশ গ্রহণে প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটে মিরপুর শেরে-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

টুর্নামেন্ট শেষে পুরস্কার বিতরণ করবেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, পরিচালনা করবেন বিএনপি ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহবায়ক আমিনুল হক।

এ ছাড়া জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। দলের অঙ্গ-সহযোগী ও পেশাজীবী সংগঠনগুলো আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ করবে। সারা দেশে একই কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।

এদিকে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবাষির্কী উপলক্ষে বানী দিয়েছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বানীতে তিনি বলেছেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনের প্রবক্তা ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ত্ঋর প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দেশের সব ক্রান্তিকাল উত্তরণে শহীদ জিয়া জাতির দিশারী। বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের জনগণের ওপর আক্রমণ করার পর তিনি পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

তিনি বলেন, ২৬ মার্চ তিনি চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন অসীম বীরত্বে। সেদিন থেকেই দেশবাসী তার অসাধারণ নেতৃত্বের পরিচয় পায়। দেশের সব সংকটে তিনি ত্রাণকর্তা হিসেবে বারবার অবতীর্ণ হয়েছেন।