নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:৩০ এএম
যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাজার রাস্তায় নেমে এসেছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। কেউ উদযাপন করছেন, কেউ আত্মীয়দের কবর দেখতে যাচ্ছেন, আবার কেউ শরণার্থী ক্যাম্প থেকে নিজেদের বিধ্বস্ত বাড়ির অবস্থা দেখতে বের হয়েছেন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহতে শরণার্থী আয়া রয়টার্সকে বলেন, “১৫ মাস মরুভূমিতে হারিয়ে থাকার পর মনে হচ্ছে আমি অবশেষে কিছু পানি পেয়েছি। আমি আবার জীবিত বোধ করছি।”
গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে শত শত মানুষ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে হাঁটছেন। এদিকে, দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে হামাস যোদ্ধারা গাড়ি চালিয়ে জনতার উদ্দেশে হাত নাড়ছেন। জনতাও তাদের অভিবাদন জানাচ্ছে। একজন হামাস যোদ্ধা রয়টার্সকে জানান, “আমাদের সব প্রতিরোধ দল এখানে অবস্থান করছে।”
এদিকে, জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থার ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশ করতে শুরু করেছে। কারেম আবু সালেম ও জিকিম ক্রসিং দিয়ে গমের আটা এবং প্রস্তুতকৃত খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। প্রথম ধাপে ইসরায়েলি কারাগার থেকে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। পশ্চিম তীরের মারিয়াম ওয়াইস জানান, “আমার তিন ছেলের মধ্যে দু'জন মুক্তি পাবে। যখন প্রথম শুনি, তখন আমি হতবাক হয়ে যাই এবং হঠাৎ অসুস্থ বোধ করি। জানি না, হয়তো আমি খুব খুশি।”