Dhaka, সোমবার, মার্চ ১০, ২০২৫
logo

ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় ‘দ্বিতীয়’ ফাইনালেও চিটাগাংয়ের স্বপ্নভঙ্গ


নিজস্ব প্রতিবেদক   প্রকাশিত:  ১০ মার্চ, ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম

ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় ‘দ্বিতীয়’ ফাইনালেও চিটাগাংয়ের স্বপ্নভঙ্গ

দীর্ঘ ১২ বছর পর ফিরে আসা। কিন্তু শেষটা হলো সেই একই বিন্দুতে। চিটাগাং কিংস ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে বিপিএলে এসেছে ঠিক ঠিক এক যুগ পর। আর দুইবারেই চট্টগ্রামের আদি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি ফাইনালে উঠে শেষ করেছে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে। এবারের হারে অবশ্য বড় দায় আছে ক্রিকেটারদের অদ্ভুতুড়ে ফিল্ডিংয়ের!

 

বিপিএলে প্রত্যাবর্তনের এই ফাইনালে চিটাগাং কিংসের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। আজ (শুক্রবার) ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ওপেনার খাজা নাফি এবং পারভেজ হোসেন ইমন ১২১ রানের জুটি গড়েছেন। ক্র্যাম্প নিয়ে গ্রাহাম ক্লার্ক যেভাবে লড়েছিলেন শেষ পর্যন্ত, সেটাও প্রশংসার যোগ্য নিঃসন্দেহে। ইনিংসের শেষ চার বলে ২ উইকেট আর ২ ডট বলের পরেও চিটাগাংয়ের স্কোরবোর্ডে ছিল ১৯৪ রান। 

তবে ফরচুন বরিশালের কাছে চিটাগাং কিংস ম্যাচটা হেরেছে নিজেদের ফিল্ডিং ব্যর্থতার দিনে। ইনিংসের অন্তত ৭টি ওভারে বরিশালকে ফিল্ডিং ব্যর্থতার কারণে বাড়তি রান নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে চিটাগাং কিংস। যার সুবিধা পুরোদমে কাজে লাগিয়েছে বিপিএলে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়া বরিশাল।

খালেদ আহমেদের করা ওভারেই দু’বার বল ভেসেছে হাওয়ায়। কিন্তু ক্যাচের জন্য কাছাকাছি থাকা খেলোয়াড়ও ছিলেন না অনেকক্ষেত্রেই । ফাইনালে হাতের ক্যাচ না ফসকালেও, ম্যাচ জেতানো কোনো ফিল্ডিং–ই দেখাতে পারেনি চিটাগাং কিংস। বরং কাইল মায়ার্সের সম্ভাবনা জাগানো ক্যাচ নিতে পারেননি শরিফুল, সেটা থেকে থার্ড ম্যানে চারও হয়েছে। 

কখনও আবার অহেতুক আগ্রাসী হয়েও নিজেদের কপাল পুড়িয়েছেন চিটাগাং কিংসের ফিল্ডাররা। পারভেজ হোসেন ইমন কিংবা শামীম পাটোয়ারী অহেতুক আগ্রাসী হতে গিয়ে বরিশালের স্কোরবোর্ডে তুলে দিয়েছিলেন বাড়তি রান।

খালেদ অবিশ্বাস্য এক মিস ফিল্ডিংয়ে চার উপহার দিয়েছেন ফরচুন বরিশালকে। মহাগুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিনুরা ফার্নান্দোও মিস করেছেন রিশাদকে রান আউট করার সুযোগ। শেষ ওভারের প্রথম বলে এই রিশাদই ছক্কা মেরে সহজ করেছিলেন বরিশালের শিরোপার সমীকরণ। আর ইনিংসের শেষটা হয় আরেক ব্যর্থতায়। সেখানেও অতিরিক্ত রান। 

চিটাগং কিংসের ভক্তরা দায় দিতে পারেন বোলারদেরও। পুরো আসরে বোলিং ইউনিট হিসেবে দুর্দান্ত চিটাগাং সবচেয়ে বড় ম্যাচেই কি না খেই হারালো বাজেভাবে। ফরচুন বরিশালকে এদিন ১৭টি অতিরিক্ত রান উপহার দিয়েছে দলটি। ৮টি ওয়াইড আর ৭ রান বাই থেকে। বাই থেকে চার রান হজম করার ঘটনাও আছে এই ইনিংসে। বিনুরা, শরিফুল আর খালেদের পেস বোলিং বিভাগ পুরো আসরে খুব হিসেবি বল করেও ফাইনালে খেই হারিয়ে ডুবিয়েছেন নিজের দলকে। 

দিনের শুরতেই অবশ্য রানিং বিটুইন দ্য উইকেটের দারুণ সুবিধা আদায় করেছিল চিটাগাং কিংসও। গ্রাহাম ক্লার্ক পায়ে ক্র্যাম্প নিয়েও বেশ কয়েকবারই সুযোগ নেন প্রতিপক্ষের দুর্বল ফিল্ডিংয়ের। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে এসে সেই সুবিধা অকাতরে তারা বিলিয়ে দিয়েছে ফরচুন বরিশালকেও। 

ম্যাচ শেষ করে চিটাগাং কিংসকে নিয়ে ভাবতে বসলে হয়তো ভক্তরা এই আক্ষেপটাই করবেন বারেবারে। দারুণ এক সম্ভাবনার ফাইনাল যাদের হারতে হয়েছে কেবল ফিল্ডিংয়ের কারণে। তারা স্কোরবোর্ডে ১৯৪ রান তুললেও, বিপিএল ফাইনালের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লক্ষ্য তাড়ায় সফল হয়েছে বরিশাল।