নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ১৭ মার্চ, ২০২৫, ০৯:৪০ পিএম
মোঃ শামীম মিয়া, মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ মানিকগঞ্জ সিংগাইর উপজেলার দক্ষিণ ধল্লা-বিন্নাডাঙ্গী বাজারে ওষুধ কিনতে গিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছে এক স্কুলছাত্রী। এ ঘটনায় সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত ফার্মেসী মালিক মিয়া সাইফুল ইসলামকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে ধামাচাপা দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ । এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
অভিযুক্ত মিয়া সাইফুল ইসলাম ওই বাজারের হাজ্বী রুপজান ফার্মেসীর মালিক ও ধল্লা মধ্য পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে।
মঙ্গলবার (১১ই ফেব্রুয়ারি) বিন্নাডাঙ্গী বাজার ব্যবসায়ী ও ভিকটিমের পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ওই স্কুল ছাত্রী চর্মরোগের ক্রীম কিনতে রুপজান ফার্মেসীতে যায়। এ সময় ফার্মেসী মালিক সাইফুল ইসলাম তাকে প্রেসার মাপার কথা বলে ভেতরের কক্ষে নেয়। সেখানে তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ভিকটিম চিৎকার করলে আশপাশের দোকানদাররা এগিয়ে আসেন। মুহূর্তের মধ্যে লোকজন জড়ো হয়ে যায় এবং অভিযুক্ত সাইফুলকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। একপর্যায়ে জনরোষ থেকে বাঁচতে সে পালিয়ে রক্ষা পায়। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সোস্যাল মিডিয়াতে ওঠে সমালোচনার ঝড়। অভিযুক্তের পরিবার ধামাচাপা দিতে দ্বারস্থ হন স্থানীয় প্রভাবশালীদের নিকটে।
সোমবার রাতে ঘরোয়াভাবে ঘটনাটি নিয়ে দক্ষিণ ধল্লা গ্রামের আতাউর রহমানের বাড়িতে গ্রাম্য সালিশ বসে। সেখানে অভিযুক্ত সাইফুলকে ভিকটিমের পরিবারের কাছে পা ধরে মাফ চাইয়ে চড়-থাপ্পড় দিয়ে মিমাংসা করে দেয়া হয় বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার ধামাচাপার এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ওই বাজারের কোকারিজ ব্যবসায়ী সোবহান খান বলেন, সাইফুল ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে। ঘটনার পর অবস্থার বেগতিক দেখে আমি তাকে পালিয়ে যেতে সুযোগ দিয়েছি।ভিকটিমের পরিবার মেয়ের মানসম্মান ও ভবিষ্যৎ চিন্তায় থানা-পুলিশ না করলেও অপরাধীকে কঠিন শাস্তির আওতায় না আনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রাম্য বৈঠকে উপস্থিত থাকা একাধিক ব্যক্তি জানান, অপরাধ অনুযায়ী বিচার না হওয়ায় ভিকটিমের পরিবারসহ আমরা কেউ সন্তুষ্ট না।
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার ফার্মেসী ও বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেন,এ ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। যদি লিখিত অভিযোগ পাই,তাহলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।