Dhaka, শুক্রবার, মার্চ ১৪, ২০২৫
logo

গাজীপুরে ৪ ঘণ্টা পর মহাসড়ক ছাড়লো শ্রমিকরা, সীমাহীন দুর্ভোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক   প্রকাশিত:  ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম

গাজীপুরে ৪ ঘণ্টা পর মহাসড়ক ছাড়লো শ্রমিকরা, সীমাহীন দুর্ভোগ

গাজীপুরে বকেয়া বেতন, ওভারটাইম ও ঈদ বোনাসের দাবিতে প্রায় চার ঘণ্টা যাবত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বিএইচআইএস অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা। আজ (মঙ্গলবার, ১১ মার্চ) সকাল ৭টা থেকে টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করে কয়েক শতাধিক শ্রমিক।

 

এতে মহাসড়কের উভয় পাশে অন্তত ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন অফিসগামী যাত্রী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও যানবাহনের চালকরা।

 

 

 

শ্রমিকরা জানায়, ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন, ওভার টাইম ও মার্চ মাসের বেতনসহ ঈদ বোনাসের দাবিতে কয়েকদিন যাবত কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন তারা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধে গড়িমসি করছিল।

 

 

 

এজন্য গতকাল (সোমবার, ১০ মার্চ) শ্রমিকরা কারখানায় কর্মবিরতি পালন করেন। মঙ্গলবার সকালে কারখানায় এসে মূল ফটকের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা ছুটির নোটিশ দেখতে পেয়ে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। পরে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।

 

 

 

এদিকে বেলা ১১টার দিকে যৌথবাহিনীর হস্তক্ষেপে মহাসড়ক থেকে সরে যায় শ্রমিকরা। এর ফলে প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর যান চলাচল শুরু হয়। এসময় আন্দোলনরত শ্রমিকরা কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, শিল্প ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

 

 

 

টঙ্গী শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) ইসমাঈল হোসেন বলেন, 'আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার পর তারা মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।'

 

 

 

এছাড়াও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মৌচাকে গ্লোবাস কারখানার শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অবস্থান নিয়েছিলেন। পরে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে আসলে শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে আশপাশে অবস্থান নেন।

 

 

 

শ্রমিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (৮ মার্চ) মৌচাকের গ্লোবাস কারখানায় কয়েকজন শ্রমিককে ডেকে নিয়ে মারধর করে স্টাফরা। এরপর শ্রমিকরা কারখানার ভেতর আন্দোলন শুরু করেন। পরে ঝামেলা মিটে গেলেও আজ পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রয়েছে। এ কারণেই আজ বিক্ষোভ শেষে মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা।