Dhaka, বৃহস্পতিবার, মার্চ ১৩, ২০২৫
logo

শাহবাগে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ১২ জনের নামে মামলা


সিয়াম ইসলাম   প্রকাশিত:  ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম

শাহবাগে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ১২ জনের নামে মামলা

শাহবাগে ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রার নামে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ১২ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। এসময় অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরও ৭০ থেকে ৮০ জনকে এ মামলায় আসামি করেছে পুলিশ।

বুধবার (১২ মার্চ) রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় আসামিরা হলেন, অংঅং মারমা (২৫), সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ইডেন মহিলা কলেজ শাখা সভাপতি সুমাইয়া শাহিনা (২৫), জবি ছাত্র ইউনিয়নের আদ্রিতা রায় (২৩), ছাত্র ফেডারেশনের আরমান (৩০), বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি সভাপতি মেঘমল্লার বসু (২৮),বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরের সভাপতি আল আমিন রহমান (২৫), বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা রিচার্ড (২৬), ছাত্র ফেডারেশনের হাসান শিকদার (২৫), বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের (ঢাবি) সীমা আক্তার (২৫), বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৌকত আরিফ (২৬), বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাঈন আহাম্মেদ (২৪) এবং গণত্রান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহাম্মদ চৌধুরী (২৫)। এছাড়া ৭০/৮০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি।

এর আগে, মঙ্গলবার ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রার নামে নারী-পুরুষসহ ৬০/৭০ জনের একটি বিক্ষোভকারী দল প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে তাদের বাধা দেয়।

এ সময় ওই পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা নারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগোনোর চেষ্টা করে। ওই এলাকায় রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে অনুরোধ করলে তারা উল্টো পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এ সময় বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী নারীদের নখের আঁচড়ে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়।’

আরো বলা হয়, ‘একপর্যায়ে পদযাত্রাকারীরা পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তিতে লিপ্ত হয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়।

এ সময় তাদের হামলায় ডিএমপির রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহ আল মামুন গুরুতর আহত হন।

এ ছাড়া উপপুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম, দুই নারী পুলিশ সদস্য এবং তিনজন পুরুষ কনস্টেবল আহত হন। পরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’