Dhaka, রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫
logo

চার দিনের সফরে ঢাকায় জাতিসংঘ মহাসচিব, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হচ্ছে?


সিয়াম ইসলাম   প্রকাশিত:  ১৬ মার্চ, ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম

চার দিনের সফরে ঢাকায় জাতিসংঘ মহাসচিব, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হচ্ছে?

চার দিনের সফরে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে এসেছে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। কূটনীতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের প্রধান দায়িত্ব হওয়া উচিত মানবিক সহায়তা প্রদান, রাজনৈতিক সমাধান দেওয়া নয়। জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরে আলোচনার কেন্দ্রে রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা ইস্যু হলেও রোহিঙ্গা সংকটের মতো জটিল বিষয়ে জাতিসংঘ এককভাবে পুরোপুরি সমাধান দিতে পারবে না বলেও মনে করেন তারা।  

সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবিরের মতে, ‘এ সফরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তার বিষয়টি নিয়ে জোর দেবে বাংলাদেশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাংলাদেশে মানবিক সহায়তা স্থগিতের পর যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে, এর সমাধানের পথ পেতে পারে বাংলাদেশ।’ 

এই সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে একাধিক বৈঠক করবেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস। বৈঠকে গুরুত্ব পাবে অন্তর্বর্তী সরকারের গণতন্ত্রে উত্তরণ, রোহিঙ্গা ইস্যু ও মানবাধিকার।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, মহাসচিবের এই সফরটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। কারণ বৈঠকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পথে উত্তরণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে আলোচনায় জাতিসংঘের মানবিক সহয়তা দেওয়ার বিষয়টি জোর দিতে হবে। তাদের মূল কাজ হবে মানবিক সহায়তা প্রদান, রাজনৈতিক সমাধান দেওয়া নয়। 

রোহিঙ্গা সমস‍্যার টেকসই সমাধান পেতে শুধু জাতিসংঘ নয় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
 
বাংলাদেশ টেকসই নির্বাচন প্রক্রিয়াতে জাতিসংঘের সমর্থন আছে, তাই ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে তারা কী ধরনের সহয়তার করবে—সেই বিষয়ে আলোচনা হবে। তাই সফরটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন সাবেক এই রাষ্ট্রদূত। 

রোহিঙ্গা নিয়ে এই মুহূর্তে ৩ ধরনের জটিলতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বৈঠকের প্রধান লক্ষ্য হবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে রোহিঙ্গাদের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে সহযোগিতা চাওয়া।’ 

সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পেলেও সংস্কার ও আগামী নির্বাচন ইস্যুতে জাতিসংঘ মহাসচিব ঐকমত্যের বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করছেন কূটনীতি বিশেষজ্ঞরা।