Dhaka, রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫
logo

গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ আমার লাগবেই: ন্যাটো প্রধানকে ট্রাম্প


সিয়াম ইসলাম   প্রকাশিত:  ১৬ মার্চ, ২০২৫, ০৬:২১ পিএম

গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ আমার লাগবেই: ন্যাটো প্রধানকে ট্রাম্প

আবারও গ্রীনল্যান্ডের দখল চান ক্ষমতাধর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাইসের এক বৈঠকে ন্যাটো প্রধান মার্ক রুটেকে এমনটাই জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের সীমানাভুক্ত করার সংকল্প ফের ব্যক্ত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্ক রুটেকে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্যই গ্রিনল্যান্ডের ওপর দখল চায় যুক্তরাষ্ট্র। ।

এই সংযুক্তিকরণ সম্ভব কি না জানতে চাওয়া হলে ট্রাম্প এক সাংবাদিককে জানান, ‘আমার মনে হয় এটা হবে।’

ট্রাম্প আরো বলেন, এর আগে এই প্রস্তাব নিয়ে তিনি খুব একটা চিন্তা করেননি। রুটে এই বিষয় তাকে সাহায্য করতে পারেন, তাই এই বৈঠকে তিনি এই প্রস্তাবটি রেখেছেন। তিনি বলেন এমন অনেক দেশ আছে যাদের গ্রিনল্যান্ডে যাতায়াত আছে। সেই কারণেই আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্য গ্রিনল্যান্ডকে প্রয়োজন।

রুটে অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি এই বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে চান। তিনি বলেন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহণের ব্যাপারে তিনি ন্যাটোকে যুক্ত করতে চান না। যুক্তরাষ্ট্র প্রাকৃতিক সম্পদে পূর্ণ গ্রিনল্যান্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। এই অঞ্চলে চীন এবং রাশিয়ার প্রভাবও আছে।

ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন গ্রিনল্যান্ড্রের প্রধানমন্ত্রী মিউট বি ইডগা। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আবার আমাদের সংযুক্তিকরণের প্রস্তাব দিয়েছেন। যথেষ্ট হয়েছে।’ তিনি জানান এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের জন্য তিনি একটি সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিতে চান।

মঙ্গলবার গ্রিনল্যান্ডের বাণিজ্যমুখি রাজনৈতিক দল ডেমোক্রাটিট পার্টি ক্ষমতায় এসেছে।

তাদের নেতা ইয়েন-ফ্রেড্রিক নিয়েলসনও ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘ট্রাম্পের প্রস্তাব অনৈতিক। এরকম অবস্থায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে।’

ডেনমার্কের অন্তর্গত হলেও ২০০৯ থেকে গ্রিনল্যান্ড আভ্যন্তরীণ বিষয় স্বায়ত্বশাসন অর্জন করেছে। উত্তরের এই আর্কটিক দ্বীপটি যদিও অর্থনৈতিকভাবে ডেনমার্কের ওপর নির্ভরশীল। ডেনমার্ক সরকার এর সামরিক সুরক্ষা এবং পররাষ্ট্র বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।নির্বাচনের ফল অনুযায়ী অধিকাংশ গ্রিনল্যান্ডবাসী ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতা চান। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে অন্তর্ভুক্তি চান না।