Dhaka, বুধবার, মার্চ ১৯, ২০২৫
logo

ভূঞাপুরে অধ্যক্ষের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবীতে বিক্ষোভ!


নিজস্ব প্রতিবেদক   প্রকাশিত:  ১৯ মার্চ, ২০২৫, ০১:০৯ পিএম

ভূঞাপুরে অধ্যক্ষের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবীতে বিক্ষোভ!

 

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাছান আলী সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীরা।

সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অংশগ্রহণে মানববন্ধ ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধে অংশ গ্রহণকারীদের দাবী অধ্যক্ষ হাসান আলী সরকার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় অনিয়মের মাধ্যমে টাকা আদায় করেছে, সরকারি গাছ কম দামে বিক্রি করে আর্থিক সুবিধা নিয়েছে, অনুমতি ছাড়া কলেজ ফান্ডের ২২.৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে, ১৯ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করেছেন তিনি। 

এছাড়াও শিক্ষকদের বেতন থেকে অবৈধভাবে টাকা কেটে নেওয়া, অনৈতিকভাবে শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্য করা, শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতেন অধ্যক্ষ হাসান আলী। 

কলেজের শিক্ষার্থী অতশি বলেন, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অপরাধে সাময়িক বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ মো. হাছান আলী সরকার পুনরায় কলেজে অনুপ্রবেশ চেষ্টা করছে। আমরা কর্তৃপক্ষের নিকট তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।

শিক্ষার্থী পূজা জানায়, আমরা এমন একজন অধ্যক্ষ চাই, যিনি আমাদের শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করবেন। দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ হাসান আলীর অধীনে আমরা আর পড়াশোনা করতে চাই না।

কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামন জানান, অধ্যক্ষের অনিয়মের কারণে আমাদের পেশাগত কাজে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা তার স্থায়ী বহিষ্কার বা অপসারণ চাই।

একদিকে চলতি দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান জানান, অধ্যক্ষ হাসান আলী বহিস্কারের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রিট করলে হাইকোর্ট তার পক্ষে রায় দেয়। তৎপ্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ গোলাম রব্বানী রতনকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে অব্যাহতির আদেশ দিয়ে পুনরায় অধ্যক্ষ হাসান আলীকে কলেজে যোগদান করার অনুমতি প্রদান করে। কিন্তু কলেজ গভর্নিং বডি হাসান আলীর যোগদান গ্রহণ না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে কলেজের তালা ভেঙে অফিস দখল করেন তিনি। আর এ ঘটনার প্রেক্ষিতেই হাসান আলীর স্থায়ী বহিষ্কারের দাবীতে মানববন্ধন করা হয়।

ওপরদিকে অধ্যক্ষ হাসান আলী জানান, মহামান্য হাইকোর্ট আমার পক্ষে রায় প্রদান করেছেন। তৎপ্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম রব্বানীকে অব্যাহতির আদেশ দিয়ে আমাকে পুনরায় কলেজে যোগদান করার অনুমতি প্রদান করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

তিনি আরো জানান, কলেজে যোগদানের বিষয়ে আমি গভর্নিং বডির সভাপতির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। পরে অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে আমি প্রবেশ করতে গেলে সেখানের তালা পরিবর্তন দেখে আমি সেটি ভেঙে অফিসে প্রবেশ করি ও নতুন তালা লাগিয়ে দিই।