Dhaka, বুধবার, মার্চ ১৯, ২০২৫
logo

জীবিত আছিয়াদের নিরাপত্তার দাবিতে নওগাঁয় স্কুল শিক্ষার্থীর অবস্থান


নিজস্ব প্রতিবেদক   প্রকাশিত:  ১৯ মার্চ, ২০২৫, ০১:০৯ পিএম

জীবিত আছিয়াদের নিরাপত্তার দাবিতে নওগাঁয় স্কুল শিক্ষার্থীর অবস্থান

 


নওগাঁ প্রতিনিধি : জীবিত আছিয়াদের নিরাপত্তার দাবিতে এক স্কুল শিক্ষার্থী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। সোমবার (১৭ মার্চ)  রাত ৮টায় শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই কর্মসূচি পালন করেন তিনি। 

অবস্থান নেওয়া ওই স্কুল শিক্ষার্থীর নাম ফাতেমা  আফরিন ছোঁয়া। সে নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। 

এসময় জীবিত আছিয়াদের নিরাপত্তা দিবে কে? লেখা প্লেকার্ড হাতে তাকে একাই মুখের কালো কাপড় বেঁধে প্রায় ১ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় তার চারপাশে মোমবাতি জ্বালানো হয়।

অবস্থান কর্মসূচি পালন করা শিক্ষার্থী ফাতেমা আফরিন ছোঁয়া বলেন, আমরা এখন ঘরের বাইরে বের হতে ভয় পাই। আমাদের কোন নিরাপত্তা নেই। আমাদের নিরাপত্তা দিবে কে? 

তিনি আরো বলেন, আমরা যাতে স্কুল-কলেজে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারি সেই নিরাপত্তা চাই। যাতে আর কোন জীবিত আছিয়াকে ধর্ষণ বা কাউকে নারী নির্যাতনের শিকার হতে না হয়। এজন্যই অবস্থান কর্মসূচিতে দাঁড়িয়েছে। 

মেয়েটির বাবা যাযাবর ব্যান্ড এর সঙ্গীত শিল্পী খাদেমুল ইসলাম ক্যাপ্টেন বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা নিরাপদ নয়। প্রতিনিয়ত ভয় কাজ করে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে আমরা দেখেছি সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় অজস্র শিশু ও নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আমরা আর কত প্রাণ হারাতে দেখবো? আর কবেই বা আমার আপনার ছেলে-মেয়েরা ভয় মুক্ত সত্যিকারের স্বাধীন দেশ পাবে?

তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলায় কোন ধর্ষকের স্থান নাই। আমরা আছিয়ার কাছে ক্ষমা প্রার্থী। জীবিত আর কোন আছিয়াকে আমরা হারাতে চাইনা। দ্রুত ধর্ষকদের বিচারকার্য শেষ করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হোক এমনটায় আমার চাওয়া।

উল্লেখ্য, আট বছরের শিশুটি ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার (৮ মার্চ) বিকালে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১টায় ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।