Dhaka, শুক্রবার, এপ্রিল ১১, ২০২৫
logo

"নবনির্মিত যমুনা রেল সেতু দিয়ে ৩ মিনিটে ট্রেন পাড় হবে"


নিজস্ব প্রতিবেদক   প্রকাশিত:  ০৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম

"নবনির্মিত যমুনা রেল সেতু দিয়ে ৩ মিনিটে ট্রেন পাড় হবে"

 

দেশের বৃহত্তম নবনির্মিত ‘যমুনা রেলসেতু’ দিয়ে উদ্বোধনী ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে। মাত্র ৩ মিনিট ২৫ সেকেন্ড সময়ের মধ্যেই ট্রেনটি ইবরাহীমাবাদ স্টেশন থেকে পশ্চিম প্রান্ত সায়দাবাদ স্টেশন গিয়ে পৌঁছে। এখন থেকে দুই লাইনে চলবে ট্রেন। এর ফলে ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের রেল চলাচল আরও সহজ হবে।

 টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলার ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে উদ্বোধনী ট্রেনটি সিরাজগঞ্জ পশ্চিম প্রান্ত সয়দাবাদ রেলস্টেশন গিয়ে থামে। পরে 'যমুনা রেল সেতু' উদ্বোধনের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে রেলওয়ে সেতু কর্তৃপক্ষ। 

এর আগে বেলা ১১টায় ইবরাহীমাবাদ রেলস্টেশন চত্বরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে রেলসেতুর উদ্বোধন করেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি ও জাইকার সাউথ এশিয়া ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর জেনারেল ইতো তেরুকি।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক এম আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দ টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরিফা হক ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ পপি খাতুন সহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, জাপান-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত সেতুটিতে ৫০টি পিলার ও ৪৯টি স্প্যান রয়েছে। ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতু নির্মাণে খরচ পড়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। সেতুর দুদিকে ৭ দশমিক ৬৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট এবং লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। 

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, ‘যমুনা রেল সেতু পার হতে আগের তুলনায় অনেক কম সময় লাগবে ট্রেন চলাচলে। এতে উভয় দিকের যাত্রীদের সময় সাশ্রয় হবে।’