আদালত চত্বরে সহিংসতা ও হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত ৮৫ জন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, অসুস্থ ও নারী বিবেচনায় ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবু সাঈদ সাগরসহ আটজনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার দুপুরে জামিন আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত বছরের ৪ আগস্ট আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর হামলা, চেম্বার ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী বাবু বাদী হয়ে ১৪৪ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্ত আইনজীবীদের মধ্যে ৯৩ জন রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
ট্রাম্পের কাছে তিন মাস সময় চান ড. ইউনূস
গবেষণা প্রবন্ধ বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করছে খুবি রিসার্চ সোসাইটি
হাসিনাকে সেনাবাহিনী ২টি চয়েস দিয়েছিল: মির্জা ফখরুল
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে জানান, তাঁরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন এবং জামিন পেলে তাঁরা পলাতক হবেন না। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে বিচারক ৮৫ জন আইনজীবীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে, অসুস্থ ও নারী বিবেচনায় আটজনের জামিন মঞ্জুর করা হয়।
কারাগারে পাঠানো উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান মানিক, গাজী শাহ আলম, মাহবুবুর রহমান, আসাদুর রহমান রচি, সাইবার ট্রাইব্যুনালের পিপি নজরুল ইসলাম শামিম ও মোরশেদ হোসেন শাহীন, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু এবং ঢাকা মহানগর আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আব্দুল্লাহ আবু।
মামলার অন্যতম আসামি আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগকে 'আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থী' বলে দাবি করেছেন। তাঁর মতে, আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীর মামলা পরিচালনার কারণে তাঁকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা গত বছরের ৪ আগস্ট আদালত চত্বরে অস্ত্র, লাঠিসোঁটা ও বোমা নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আইনজীবীদের ওপর হামলা চালান এবং তাঁদের হত্যাচেষ্টা করেন।