কয়েকজন বিশিষ্ট ইসলামী পণ্ডিত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার পরিপ্রেক্ষিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়া জারি করেছেন। এই ফতোয়ায়, তারা বিশ্বের সকল মুসলিম এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে (জিহাদ) অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
মিডল ইস্ট আই এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মুসলিম স্কলার্স ইউনিয়নের (আইইউএমএস) মহাসচিব আলী আল-কারদাঘি একটি ১৫-দফা ফতোয়া জারি করেছেন, যেখানে তিনি গাজায় চলমান গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে সামরিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরব ও ইসলামিক বিশ্বের সরকারগুলোর ব্যর্থতাকে ইসলামী আইনের লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছেন।
ইমাম মাহদির আগমনের আলামত কোনটি?
'Iftar Bowl' festival in the desert of Sharjah, gathering of 2 thousand people
নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাতের চেয়েও একটা বড় সওয়াবের কাজ আছে
ফতোয়ায় আলী আল-কারদাঘি ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধ করেছেন এবং সুয়েজ খাল, বাব আল-মান্দাব, হরমুজ প্রণালী এবং অন্যান্য স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথ দিয়ে ইসরায়েলের অস্ত্র পরিবহণ নিষিদ্ধ করেছেন। এছাড়াও, তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে অবরোধ আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।
১৪ জন ইসলামিক পণ্ডিত এই ফতোয়াকে সমর্থন জানিয়েছেন। তারা ইসরায়েলের সঙ্গে বিদ্যমান 'শান্তি চুক্তি' পুনর্বিবেচনা করার জন্য মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যায় এবং তিনি তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মুসলিমদের ওপর হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে বাধ্য হন।
ফতোয়াটি একটি ইসলামী নির্দেশনা, যা কোরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে বিশিষ্ট ইসলামী পণ্ডিতরা জারি করেন। এই ফতোয়ার মাধ্যমে, তারা গাজায় ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার প্রতি বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।