যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় চীন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল না করে, তবে তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় পাল্টা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।
ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের ভয়ংকর তথ্য: ফেঁসে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু
বাংলাদেশের জনগণের মহত্ত্ব ভুলব না: ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
69954 pilgrims reached Saudi
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ বহুপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত ভারসাম্য এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে তারা দীর্ঘদিন ধরে যে সুবিধা ভোগ করে আসছে, তা উপেক্ষা করেছে। চীন এর তীব্র বিরোধিতা করে এবং নিজেদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।"
ট্রাম্পের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর বর্তমানে ২০ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্ক যোগ হবে। ফলে, চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের মোট শুল্কের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫৪ শতাংশে। এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করেছে, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
শুল্ক আরোপের পাশাপাশি ট্রাম্প 'ডি মিনিমিস' নামে পরিচিত একটি বাণিজ্য প্রক্রিয়া বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চীন এবং হংকং থেকে কম মূল্যের পণ্য বিনা শুল্কে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করত। এছাড়া, ২০২০ সালের যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির শর্ত অনুযায়ী চীন তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প।
এই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, চীনের দুই বছরে ২০ হাজার কোটি ডলারের মার্কিন পণ্য কেনার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে চীন তাদের লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।
চীনের শুল্ক তথ্যে দেখা যায়, বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর আগে ২০১৭ সালে চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল, যা গত বছর বেড়ে ১৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপের ফলে চীনকে বিকল্প বাজার খুঁজতে হতে পারে। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় বাজার অন্য কোনো দেশের নেই। চীন প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৪০ হাজার কোটি ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য বিক্রি করে।