Dhaka, মঙ্গলবার, এপ্রিল ৮, ২০২৫

ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

সিয়াম ইসলাম

প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:৪৩ পিএম
Bangla Today News

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার মিত্র ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে বড় ধরনের বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই ও প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতার যথেচ্ছ ব্যবহারের অভিযোগসহ বিভিন্ন কারণে এ বিক্ষোভ হয়। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে এটি সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার ওয়াশিংটনের মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও হালকা বৃষ্টির মধ্যেও হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল মলে ট্রাম্পবিরোধী প্রতিবাদে অংশ নেয় বেশ কিছু সংগঠন। ওয়াশিংটন ছাড়াও নিউইয়র্কে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয় অসংখ্য মানুষ।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, শুল্কনীতির আড়ালে ট্রাম্প প্রশাসন তাদের কর্তৃত্ববাদী রূপের বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে। প্রতিবাদকারীদের মধ্যে বিজ্ঞানী, শিল্পী, শিক্ষক ও সাধারণ গৃহিণীও ছিলেন। তাদের মতে, এই শুল্কনীতি শুধু আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নয়, খাদ্য, প্রযুক্তি ও জ্বালানির দামকেও প্রভাবিত করছে।

শনিবারের এই বিক্ষোভের নাম দেওয়া হয়েছে ‘হ্যান্ডস অফ’। এর একটি অর্থ হতে পারে, ‘আমাদের নিজের মতো চলতে দাও’। এসব বিক্ষোভে ১৫০টির মতো গোষ্ঠী অংশ নিয়েছে।

ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে প্রায় ২০০ প্রতিবাদকারী ব্যানার হাতে জড়ো হন, যাদের অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি, যা বিশ্ব বাণিজ্যের ওপর একতরফা হস্তক্ষেপ বলে তারা মনে করেন।

একই দিনে প্যারিসের রাস্তায় শত শত মানুষ বিক্ষোভ করেন। তারা জানান, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নয়, ইউরোপের অর্থনীতির জন্যও ধ্বংসাত্মক। জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট ও বার্লিনেও একই রকম প্রতিবাদ হয়েছে। তবে সমালোচনার বিপরীতে ট্রাম্পের সমর্থকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ প্রয়োজনীয় ছিল। যুক্তরাষ্ট্রকে আবার স্বনির্ভর করতে চান ট্রাম্প, এমনটাই দাবি তাদের।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিশ্বজুড়ে যখন সহনশীল বাণিজ্যনীতির প্রয়োজন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা শুল্ক আরোপ নতুন বিভাজনের কারণ হচ্ছে। ট্রাম্পের এই নীতির প্রতিবাদ তাই শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং একটি বৈশ্বিক প্রতিরোধে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Leave a comment