যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি বিশ্ব বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে এবং বিশ্ব মন্দার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ মার্কিন পণ্যের ওপর প্রতিশোধমূলক পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।
ট্রাম্পের শুল্কনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো মার্কিন শিল্প ও ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা দেওয়া এবং বাণিজ্যে ভারসাম্য আনা। তিনি মনে করেন, শুল্ক আরোপের ফলে বিদেশি পণ্যের দাম বাড়বে, যা মার্কিন ভোক্তাদের যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পণ্যের দিকে আকৃষ্ট করবে। এছাড়া, শুল্ক থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব সরকারের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করবে।
ভারতে যাত্রীবাহী লঞ্চে নৌবাহিনীর স্পিডবোটের ধাক্কা, নিহত ১৩
ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের ভয়ংকর তথ্য: ফেঁসে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু
বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র
তবে অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের এই নীতি বিপরীত ফল আনতে পারে। তাদের মতে, যদি শুল্ক আরোপের লক্ষ্যগুলো অর্জন করা না যায়, তবে মার্কিন অর্থনীতি মন্দার দিকে যেতে পারে। এছাড়া, মার্কিন ভোক্তাদের ওপর করের বোঝা বাড়বে। মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক জেপি মর্গ্যানের পূর্বাভাস অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি সংকুচিত হতে পারে এবং এর প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার সম্ভাবনা ৬০ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাম্পের শুল্কনীতি বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধিকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ভুল পথে হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প মার্কিন জনগণকে দৃঢ়ভাবে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, শুল্ক আরোপের মাধ্যমে মার্কিন অর্থনীতিতে বিপ্লব ঘটবে।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য জোরদার করা উচিত। তাদের ধারণা, শুল্কনীতির ফলে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব বাণিজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। এরই মধ্যে চীন এবং জাপান মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। এমনকি, ব্রিটেনের জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি রপ্তানি স্থগিত করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র মুক্ত বাণিজ্যের ধারা থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করতে চায়। তাই অন্যান্য দেশগুলোকে মিলেমিশে মুক্ত বাণিজ্যের বিশ্ব ব্যবস্থা বজায় রাখতে হবে।