এক সময় জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মেসুত ওজিল, এখন তুরস্কের রাজনৈতিক পরিসরে নিজেকে যুক্ত করেছেন। প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের নেতৃত্বাধীন শাসক দল ‘জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি’ (AKP)-এর নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে তার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়েছে। বর্তমানে, তুরস্কের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে, ৩৬ বছর বয়সী এই সাবেক ফুটবল তারকাকে জনতার পাশে দাঁড়িয়ে নানা ধরনের জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমে অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে। তবে, তার রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
২০১৪ সালে জার্মানি বিশ্বকাপ জিতলে সেই দলে মেসুত ওজিলের অবদান ছিল অপরিসীম। এরপর বিশ্বের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলেও, আজ তিনি নিজ শিকড় তুরস্কে রাজনৈতিক দুনিয়ায় প্রবেশ করেছেন। এই পদক্ষেপে তিনি একদিকে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে জায়গা করে নিয়েছেন, অন্যদিকে তার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নানা মতামত উঠেছে।
A jailed stranger is now Africa's youngest president
KFC shutters over 100 restaurants in Malaysia amid pro-Palestine boycott
The United Nations is concerned about Bangladeshi workers detained in Malaysia
বর্তমানে তুরস্ক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে। এমন পরিস্থিতিতে, ওজিলকে মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করতে, সড়কে জনসংযোগ কার্যক্রমে অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে। এই দৃশ্য কিছু মানুষের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করলেও, অন্যদের মধ্যে বিতর্কও সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধী দলের সদস্যরা বলছেন, জনপ্রিয়তার জন্য ওজিলকে সামনে এনে সরকার জনমতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।
তুরস্কের বর্তমান সরকার নানা প্রশ্নের মুখে রয়েছে—বিশেষ করে দীর্ঘদিনের ক্ষমতায় থাকার পর এরদোয়ান সরকারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক মন্দা, উচ্চ দারিদ্র্য এবং বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন করার অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুর গ্রেপ্তার এবং সরকারকে নিয়ে নানা সমালোচনা চলছে। সমালোচকরা মনে করছেন, এসব পদক্ষেপ আসন্ন ২০২৮ নির্বাচনের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করছে।
এছাড়া, সম্প্রতি এরদোয়ান ইসরায়েল এবং হামাস নিয়ে কঠোর বক্তব্য দিয়েছেন, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে, মেসুত ওজিলের রাজনৈতিক অবস্থান তাকে এরদোয়ানের সরকারের পক্ষ থেকে এক কৌশল হিসেবে সামনে আনার চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ওজিল মাঠে বল পাসের মতো নিখুঁতভাবে হয়তো এখন রাজনীতি নিয়েও কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। তবে সময়ই বলবে, এই নতুন রাজনৈতিক ইনিংসে তার ভূমিকা কতটা ইতিবাচক হবে বা বিতর্কিত হয়, তা সব কিছু নির্ভর করবে তার ভবিষ্যত পদক্ষেপের ওপর।