নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ০৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:২৭ এএম
আওয়ামী লীগ সরকার ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা ইসলামী ব্যাংক দখল করে ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকের ভেতরে লুটপাটের প্রধান সহযোগী ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির এমডি ও তাদের নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তারা।
হাসিনার সরকারের পতন হলেও বহাল তবিয়তেই আছেন এমডি মনিরুল মওলা ও তার মিত্ররা। এমন পরিস্থিতিতে এমডি ও এস আলমের সহযোগীদের অপসারণ এবং গ্রেপ্তারের দাবিতে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়েছেন ব্যাংকটির গ্রাহকরা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে এসব দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ব্যাংকটির গ্রাহকরা।
ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরামের ব্যানারে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন গ্রাহকরা। এসময় তারা ব্যাংকের সামনের রাস্তায় বিক্ষোভও প্রদর্শন করেন।
বিক্ষোভকালে ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনিরুল মওলার অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবিতে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। একই সঙ্গে ব্যাংকের বিভিন্ন পদে বসে থাকা এস আলমের সহযোগীদেরকে বের করে দেওয়ারও দাবি জানান।
গত ১৯ ডিসেম্বর জালিয়াতির মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক থেকে এক হাজার ৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও আলোচিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাইফুল আলমের (এস আলম) ছেলে আহসানুল আলম, ব্যাংকটির এমডি ও সিইও মনিরুল মওলাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
দুদক চট্টগ্রামের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ বাদী হয়ে মামলাটি করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক ইয়াছিন আরাফাত।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে মুরাদ এন্টারপ্রাইজের নামে এ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেন। কিন্তু মামলার পর দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও মনিরুল মওলাকে গ্রেপ্তারে দুদকের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। এতে করে ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা ও গ্রাহকরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।
বিক্ষোভে তারা মনিরুল মওলাকে গ্রেপ্তারে দুদককে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। যদি এমডি মনিরুল মওলাকে এ সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে দুদক ঘেরাও করারও হুমকি দেন ব্যাংকটির গ্রাহকরা।
অপরদিকে, ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) মনিরুল মওলাকে বিশ্ববিখ্যাত দুর্নীতিবাজ, ইতিহাসের সেরা মিথ্যাবাদী ও শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক দোসর আখ্যা দিয়ে তার অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন আবুল কালাম আজাদ নামে ইসলামী ব্যাংকের একজন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার। গত ২৯ জানুয়ারি আবুল কালাম আজাদ তার নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে এমন দাবি জানান।
এর আগে একই দাবিতে বিক্ষোভসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন ব্যাংকটির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।