সিয়াম ইসলাম প্রকাশিত: ০৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:৩১ এএম
গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ২৩ মার্চের মর্মান্তিক ঘটনায় ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) তাদের ত্রুটি স্বীকার করেছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (পিআরসিএস) অ্যাম্বুলেন্স, জাতিসংঘের একটি গাড়ি এবং গাজার সিভিল ডিফেন্সের একটি অগ্নিনির্বাপক ট্রাকের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১৫ জন জরুরি কর্মীকে হত্যা করার মতো গুরুতর অভিযোগের মুখে ইসরাইল অবশেষে তাদের ভুল স্বীকার করেছে।
এতদিন ধরে ইসরাইল এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিল। তারা দাবি করে, গাড়িগুলো অন্ধকারে সন্দেহজনকভাবে এগিয়ে আসছিল এবং তাদের চলাচল সম্পর্কে সেনাবাহিনীর সাথে কোনো সমন্বয় ছিল না। তবে, নিহত প্যারামেডিকের মোবাইল ফোনের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশের পর পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। ভিডিওতে দেখা যায়, গাড়িগুলো জরুরি সহায়তার জন্য আলোকিত অবস্থায় যাচ্ছিল, যা ইসরাইলের দাবিকে মিথ্যা প্রমাণ করে।
এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক মহল থেকে ইসরাইলের তীব্র সমালোচনা শুরু হয় এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি ওঠে। রেড ক্রিসেন্ট এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য চাপ প্রয়োগ করে।
ইসরাইল প্রাথমিকভাবে দাবি করেছিল, নিহতদের মধ্যে ছয়জন হামাসের সাথে জড়িত ছিল, কিন্তু তারা এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। এই ঘটনাটি গাজায় চলমান সংঘাতের একটি বেদনাদায়ক উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ইসরাইলের সামরিক কর্মকাণ্ড নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।