যশোরের মনিরামপুরে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির (৩০ কেজি) চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নিয়াজ মাখদুম পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। আহতদের মধ্যে মিজানুর রহমান ও বিল্লাল হোসেন নামে দুই জনের নাম জানা গেছে। ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (১,২ ও ৩) ওয়ার্ডের
সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য সাথী বেগম বলেন, আমার স্বামী জাহিদুল ইসলাম খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির পরিবেশক। ঢাকুরিয়া বাজারে আমাদের গুদাম ঘর। গত বুধবার আমরা ৪৯৯ জনের চাল তুলে গুদাম ঘরে রেখেছি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে চাল বিতরণ করতে চেয়েছিলাম। তার আগে সকাল ৭ টা থেকে বিএনপির লোকজন চাল বিতরণের বিরুদ্ধে ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে এসিল্যান্ড ঘটনাস্থলে আসেন। এ অবস্থায় আর চাল বিতরণ করা হয়নি। ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও
BNP's Tarique Rahman gets back Gulshan club membership while still out of the country
Chhatra League activists demand resignation in protest of student attack
HSC exam starts today, instructions to be followed
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ইসরাফিল আমার গ্রুপের। বৃহস্পতিবার সকালে চাল বিতরণের প্রস্তুতি নিলে দলের অন্য গ্রুপের লোকজন ঢাকুরিয়া বাজারে চাল বিতরণের বিপক্ষে মিছিল বের করে। পরে চাল নিতে আসা লোকজনসহ আমার গ্রুপের লোকজন ওদের বিপক্ষে মিছিল করতে গেলে ওই পক্ষ মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে আমাদের দলেরই ৪-৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে আমার গ্রুপের দুই জন আছেন। মনিরামপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইন্দ্রোজিৎ সাহা বলেন, পরিবেশক নিরাপত্তার কথা ভেবে আমাদের সাথে কথা বলে সেপ্টেম্বর মাসের চাল তুলে ঢাকুরিয়া বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদকের ঘরে তোলেন। বিএনপির দুই গ্রুপের মারামারি হওয়াতে চাল বিতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দুই- একদিন পরে চাল বিতরণ করতে বলা হয়েছে। মনিরামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়াজ মাখদুম বলেন, খবর পেয়ে দুপুরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। চাল সরিয়ে পরিবেশকের নিজের গুদামে রাখতে বলা হয়েছে।