Dhaka, শুক্রবার, ডিসেম্বর ২০, ২০২৪

চট্টগ্রামে এবার আন্দোলনে পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর, ২০২৪, ০২:০০ এএম
Bangla Today News

দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি বন্ধ ছিল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীদের। এবার দাবি আদায়ে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। সোমবার (৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বোর্ড চেয়ারম্যানের কক্ষ ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেন পদোন্নতি বঞ্চিত এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। 
এদিকে, সরকার পতনের পরে গেল কয়েকদিন ধরে পদোন্নতির বিষয়টি নতুন করে সামনে আসে শিক্ষা বোর্ডে। এ সময় বোর্ড চেয়ারম্যানকে পদোন্নতির কার্যক্রমে গতি আনতে তাগাদা দেন বঞ্চিতরা। শেষে দাবি আদায় না হওয়ায় আন্দোলনে নামেন তারা।  অন্যদিকে, বিষয়টির সুরাহা করতে বেলা ১২টার দিকে পদোন্নতি বঞ্চিতদের সঙ্গে বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম চৌধুরী মিটিংয়ে বসেছেন বলে জানা গেছে।

 বিষয়টি নিশ্চিত করে বোর্ড সচিব অধ্যাপক আমিরুল মোস্তফা বলেন, ‘এটা সত্য যে দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি বন্ধ ছিল বোর্ডে। তারাও বিভিন্ন সময়ে দাবিদাওয়া দিয়ে আসছে। কিন পদোন্নতি না পাওয়ায় তারা একটু ঝামেলা পাকাচ্ছে। এখন সিচুয়েশন এমন যে সবাই চাপ দিয়ে পদোন্নতি নিয়ে নিবে।

আমরা এটা নিয়ে এখন মিটিং করছি।’ জানা যায়, অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী পদ না থাকায় পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে শিক্ষাবোর্ডে। এর আগে ২০১৯ সালে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ওই সময় সেকশন অফিসার পদ শূণ্য না থাকলেও অর্গানোগ্রামের বাইরে গিয়ে ছয় কর্মচারীকে সেকশন অফিসার, যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটরকে সহকারী প্রোগ্রামার পদে পদোন্নতি দিয়েছে বলে অভিযোগ করে সংশ্লিষ্টরা।

পরবর্তীতে অনিয়মের মাধ্যমে দেওয়া এসব পদোন্নতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই বছরের ২০ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. মো. মোকছেদ আলীর সই করা এক চিঠিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্ব অনুমতি ছাড়া এসব পদোন্নতির যৌক্তিক কারণ উল্লেখ করে লিখিতভাবে জানাতে বোর্ড চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে জানতে বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম চৌধুরীকে ফোন করেও তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

Leave a comment