আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে প্রবাসী আয় বেড়েছে। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলারের চাহিদাও কমেছে।
এর ফলে গত দুই সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ বেড়েছে ২৫ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
4 lakh cash can be withdrawn by check from today
দেশে ডেঙ্গুতে দুই জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৩৪
What Mashrafe said criticizing the Bangladesh XI
তথ্য অনুযায়ী, ৯ অক্টোবর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রায় বিভিন্ন তহবিলসহ মোট (মোট) রিজার্ভের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৪৯৭ কোটি ৪৪ লাখ ডলার।
আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী নিট মজুদের পরিমাণ এক হাজার ৯৮২ কোটি ৬৭ লাখ ২০ হাজার ডলার (বিপিএম-৬)। যদিও ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ 15 বিলিয়ন ডলারের নিচে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর নিট মজুদের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯৫৬ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার (বিপিএম-৬)। আর গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৬৭ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
বছরে 23 বিলিয়ন ডলারের প্রবাসী আয় বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আসছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে প্রবাসী আয় দাঁড়িয়েছে ৬৫৪ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার ডলার।
আগের দুই অর্থবছরে প্রবাসী আয় এসেছে যথাক্রমে ২,১৬১,৭৩০,০০০ মার্কিন ডলার এবং ২,৩৯২,২২২,২০০ ডলার।
এই প্রবাসী আয় আসে বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের আমদানি ব্যয় মেটানোর পর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রবাসী আয় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে।
এ ছাড়া বিদেশি ঋণ, বিদেশি বিনিয়োগের অর্থ ও সাহায্য ডলারও জমা হয় রিজার্ভে। এ ছাড়া রপ্তানি আয়ও রিজার্ভের উৎস। তবে রপ্তানি আয়ের প্রায় পুরো ডলারই চলে যায় কাঁচামাল আমদানিতে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আগস্ট থেকে আবারও প্রবাসী আয় বাড়তে থাকে। এটি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলির রিজার্ভের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করে; চাহিদা মেটানো হয় নিজস্ব উৎস থেকেই। একই সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকেও জ্বালানি কিনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে কম যেতে হয়। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার দ্রুত ক্ষতি হ্রাস পায়।