বরেণ্য আলেম ও আলোচক শায়েখ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, বাজারে সিন্ডিকেটকারীরা প্রকৃত মুসলমান নয়। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উপার্জিত সম্পদই একদিন সিন্ডিকেটকারীদের জাহান্নামের আগুনে পোড়ার কারণ হবে। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।
পোস্টে আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে। এদেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ সিন্ডিকেট। এক শ্রেণির অতিলোভী মুনাফাখোর ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেটের কারণে দেশের কোটি কোটি মানুষ সব সময়ই কষ্টের শিকার হয়।
সিলেটেই মাশরাফী, আবারও বরিশালে মাহমুদউল্লাহ
ঢাকায় পৌঁছেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম
শহিদ গোলাম নাফিজের দেহ বহন করা রিকশা সংরক্ষিত হচ্ছে গণভবনের জুলাই স্মৃতি জাদুঘরে
নবীজী (সা.) বলেছেন, পাপাচারী লোক ছাড়া কেউ মজুতদারী ও সিন্ডিকেট করতে পারে না। [সহিহ মুসলিম, ১৬০৫]
মজুতদারী ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মানুষকে কষ্ট দেওয়া ব্যবসায়ী যতই নামাজ, রোযা, হজ, উমরা কিংবা দান-সদকা করুক না কেন, দুনিয়াতে সে প্রকৃত মুসলিম এবং আখেরাতে মুক্তি লাভ করতে পারবে না। বরং যে সম্পদের জন্য তাদের এত আয়োজন, সেই সম্পদই একদিন তাদের জাহান্নামের আগুনে পোড়ার কারণ হবে।
যারা সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন, খেটে খাওয়া মানুষের আর্তনাদ কি তাদের কানে পৌঁছে না! যারা এই অপকর্মের সাথে জড়িত, তাদের প্রতি অনুরোধ, গণমানুষের কষ্ট এবং আল্লাহর সামনে দাঁড়াবার কথা চিন্তা করে এই অন্যায় থেকে ফিরে আসুন। যে সম্পদ থেকে মজলুমের আর্তনাদ ভেসে আসে, সেই সম্পদ মানুষকে ধনী বানালেও সুখী বানাতে পারে না।
পোস্টের প্রথম কমেন্টেসে শায়েখ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, সিন্ডিকেট, মজুতদারি দূর করতে নৈতিকতার চর্চা এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি খাবারে ভেজাল দিয়ে যারা জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলছে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।