জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন নিয়ে ফেসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় চটকদার বিজ্ঞাপন ও পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলছে একটি চক্র। তাদের ধরতে উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বিষয়টি এর আগেও ইসির নজরে এসেছে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে, গ্রুপ, পেজ এবং প্রোফাইল বিটিআরসি শনাক্ত করে বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে এবার সেই দিকেই যাচ্ছে সংস্থাটি।
সাত মাস পর কবর থেকে তানজিন তিশার সহকারীর লাশ উত্তোলন
বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ৩ আসামির দুই দিনের রিমান্ড
পদত্যাগ চাইলে সোহেল তাজকে গান শুনিয়েছিলেন শেখ হাসিনা
ইসি কর্মকর্তাদের মতে, গ্রুপ, পেজ বা প্রোফাইল বন্ধ করে পুনরায় খোলা হচ্ছে। এটা সত্যিই কাজ করে না. তাই মামলাটি বিবেচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেক দালাল চক্র নির্বাচন ভবনের আশেপাশে শারীরিকভাবে ঘুরে বেড়ায়। তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এনআইডি শাখার একজন উপ-পরিচালক এ প্রসঙ্গে বলেন, দালালদের ধরতে আমাদের জনবল জোগাড় করা হচ্ছে। তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
ইসি সচিব শফিউল আজিম এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের লিখিত নির্দেশনা দিয়েছেন। বলা হয়েছে, প্রতিটি কার্যালয়কে একটি সেবাকেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করতে হবে এবং বাংলাদেশে বসবাসকারী ও প্রবাসীদের নতুন ভোটার নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, ভোটার স্থানান্তরসহ সকল কাজে সেবা প্রার্থীদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিটি অফিসের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের দ্বারা নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা উচিত যাতে কোনও পরিষেবা প্রত্যাশী হয়রানির শিকার না হয় এবং কোনও দালাল সুযোগ না পায়। গ্রাহকের সন্তুষ্টি অর্জন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাসহ দুর্নীতিমুক্ত সেবা প্রদানের জন্য প্রত্যেকেরই সর্বদা সচেষ্ট হওয়া উচিত।
এদিকে চট্টগ্রাম ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলের নাগরিকদের জন্য এনআইডি সেবা সহজতর হচ্ছে। মূলত সময় ফুরিয়ে আসছে। কারণ এখন থেকে সমতল থেকে কেউ নতুন ভোটার হতে এলে রোহিঙ্গা ডাটাবেসের সঙ্গে তাদের আঙুলের ছাপ মিলবে না। সময় কম লাগবে। আগে কেউ আবেদন করলে তার আঙুলের ছাপ মিলেছে ১০ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে। এখন এই ব্যবস্থা শুধু চট্টগ্রাম অঞ্চলের নতুন ভোটারদের জন্য বৈধ হবে।