কুমিল্লা দেবিদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যৌথবাহিনীর অভিযানে দালাল চক্রের সাত সদস্যকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম।
বিএনপির দুর্ণাম করলে তাকে দলে রাখা সম্ভব হবে না: তারেক রহমান
স্বামীর কল রিসিভ না করা কাল হলো স্ত্রীর জন্য!
বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী আমিরাতের দুই শীর্ষ কোম্পানি
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন, ছোট আলমপুরের এরশাদ মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন, একই গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ মিয়ার মেয়ে নাছিমা আক্তার, বারুর গ্রামের মৃত ঈসমাইল মিয়ার ছেলে আব্দুল জলিল মিয়া, বারেরা গ্রামের সুলতান আলীর ছেলে মো. জাকির হোসেন, ওয়াহেদপুর গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার মেয়ে শাহেনা আক্তার, একই গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বুলবুল এবং রসুলপুর গ্রামের জিয়াখানের মেয়ে ফাতেমা আক্তার।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, আটককৃত দালাল চক্রের সাত সদস্য রোগীদের ভুল বুঝিয়ে হাসপাতাল থেকে বাইরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতেন অপরদিকে হাসপাতালে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ থাকার পরও তারা বেসরকারি হাসপাতালে উচ্চ মূল্যে পরীক্ষা নিরিক্ষা করাতে বাধ্য করতেন। রোগীরা চিকিৎসা করাতে রাজী না হলে হয়রানি করতেন চক্রের সদস্যরা।
এবিষয়ে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আলী এহসান বলেন, দালাল চক্রের শতাধিক সদস্য হাসপাতালের স্বাভাবিক স্বাস্থ্য সেবায় ব্যাহত করছে। তারা দূর থেকে আসা সাধারণ রোগীদের কম টাকায় ভালো চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে সরকারি হাসপাতাল থেকে বাহিরের বিভিন্ন ক্লিনিকে নিয়ে যায়। এতে সাধারণ রোগীরা ভালো চিকিৎসা পাওয়ার বদলে প্রতারিত হচ্ছেন। ওই দালাল চক্রের সাত সদস্যকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, আটককৃত দালাল চক্রের সদস্যরা সরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁদের কমিশন ভিত্তিক বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিচ্ছেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালিয়ে চক্রের সাত সদস্যকে আটক করে। পরে আটককৃত সাতজনকে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।