বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এর সম্মুখে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক পরিণত হয়েছে মৃত্যু ফাঁদে। একের পর এক দুর্ঘটনায় আতঙ্কে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মুখে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে ভিন্ন ৩ সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন ৩ জন। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে ভোলা বরিশাল মহাসড়কে অগ্রযাত্রা স্কুলের সামনে ভিন্ন দুর্ঘটনায় মারাত্মক জখম হন আরও তিনজন।
গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাত ৯ টা ২০ মিনিটে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ভোলা রোডের হিরণ পয়েন্টে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় মাইসা ফৌজিয়া মিম নামে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।
মোবাইল-মানিব্যাগ নিজ দায়িত্বে রাখুন, পুলিশকে সহযোগিতা করুন
মোবাইল-মানিব্যাগ নিজ দায়িত্বে রাখুন, পুলিশকে সহযোগিতা করুন
লন্ডনে খালেদা জিয়াকে নেতাকর্মী-হাইকমিশনের ফুলেল শুভেচ্ছা
২ নভেম্বর একই স্থানে বাইক দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় মো. সিফাত (১৩) গুরুতর আহত ও মো. সিহাব (১৪) আহত হন। গুরুতর আহত সিফাতকে চিকিৎসার জন ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করলে অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসক তাকে আইসিইউতে প্রেরণ করে। কিন্তু, গতকাল ৩ নভেম্বর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিফাত মৃত্যুবরণ করেন।
সর্বশেষ, ৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬:২০ মিনিটে বাস-মোটর সাইকেলের সংঘর্ষে মোটর সাইকেল আরোহী ইউনুস বিশ্বাস (মাষ্টার) নিহত হন ৷ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুস ছালাম। ঘাতক বাস অন্তরা পরিবহন।
এই তিন সড়ক দুর্ঘটনা ছাড়াও গত ৩ নভেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে, অগ্রযাত্রা স্কুলের সামনে ভোলা বরিশাল মহাসড়কে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের দেওয়া স্পিড ব্রেকারে একই দিনে পরপর তিনটি দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে একজন রিকশাচালক, মোটরসাইকেল আরোহী দম্পতি ও অন্য আরেকটি মোটরসাইকেলে বাবার সাথে বাসায় যাওয়ার পথে আরেক শিশু আহত হয়। আহতদের অবস্থা শঙ্কা মুক্ত বলে জানা গেছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের দেওয়া স্পিড ব্রেকারে নির্দেশক কোন চিহ্ন এবং কোন প্রকার আলোর ব্যবস্থা না থাকায় এই দুর্ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাহাত হোসাইন ফয়সাল জানান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সাথে আমাদের আলোচনা হয়েছে তারা শিগগিরই ফুটওভার ব্রিজ ও ফুটপথ নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করবেন। ইতোমধ্যে, তাদের একটি দল মাঠ পর্যায়ে এসে স্থান পরিদর্শন ও মাটি পরীক্ষা করে গিয়েছে। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাথেও হয়েছে, আগামী দু-এক দিনের মধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু হবে। ইতোমধ্যে স্পিড ব্রেকার নির্মাণ এবং ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ সময় পার হলেও নিরাপদ সড়কের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তেমন কোন কার্যক্রম চোখে না পড়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে পূর্বে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হলেও বিভিন্ন কারণে সেগুলো বাস্তবায়ন হয়নি। তবে কিছু সহযোগিতা আমরা পেয়েছিলাম। সম্প্রতি সময়ে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার ফলে নিরাপদ সড়কের বিষয়টি সবাই গুরুত্ব সহকারে দেখছে। শিগগিরই এ বিষয়ে বাকি উদ্যোগগুলোও দৃশ্যমান হবে।