গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর দলীয় কর্মীদের নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রবেশ করতে না পেরে ট্রাইব্যুনালের গেটের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে গোপন বৈঠকের অভিযোগ করেন প্রধান কৌঁসুলির নামে। চিফ প্রসিকিউটর অফিস নূরের 'এমন' আচরণকে 'ষড়যন্ত্রমূলক' হিসেবে দেখছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নিহত আইনজীবীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়।
Bangladesh won the series with Tanjid-Rishad's rampage
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের প্রস্তাব অনুমোদন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'আজ বিকেল ৫টার দিকে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর তার একদল সহযোগী ও বহিরাগতদের নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান ফটক দিয়ে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করেন। সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে উসকানিমূলক ও মানহানিকর স্লোগানে মিছিল। '
পরে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার মুখে ট্রাইব্যুনালে প্রবেশ করতে না পেরে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ট্রাইব্যুনালের গেটে সংবাদ সম্মেলন করেন নুরুল হক নূর। যেখানে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠকের কিছু ভিত্তিহীন, বানোয়াট, অসত্য ও উসকানিমূলক অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন। '
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, "তার আনা এসব মিথ্যা অভিযোগ উদ্দেশ্যমূলকভাবে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। নুরুল হক নূরের বক্তব্যের ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। অবমূল্যায়ন
"নুরুল হক নূর ও তার দলের কর্মীদের এ ধরনের বেআইনি কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ অযাচিত এবং ষড়যন্ত্রমূলক বলে মনে হচ্ছে।" জুলাই-আগস্ট গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করা এবং বাধা প্রদান করা তার অনড় কর্মকাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে নুরুল হক নূর ও তার দলের নেতাকর্মীরা এই বেআইনি ও ষড়যন্ত্রমূলক কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। '
“জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত এই নতুন বাংলাদেশে দুই হাজার হত্যা ও অর্ধ লাখ ভাই-বোনের নির্যাতনের বিচার প্রক্রিয়ার জন্য পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং বিজ্ঞ চিফ প্রসিকিউটরকে নিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থে এ ধরনের কর্মকাণ্ড অনিচ্ছাকৃত ও অগ্রহণযোগ্য। নুরুল হক নূর তার ভিত্তিহীন, অসত্য ও নোংরা বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান।