জাতীয় লিগের (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ঘিরে ব্যাপক আয়োজন। একই টেবিলে তখন বিসিবি প্রেসিডেন্ট, পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের খুনসুটির এক আড্ডা হচ্ছিল। রিমার্ক হারল্যানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সিয়াম আহমেদ জাতীয় দলে খেলার আগ্রহের কথা জানালেন। ক্রিকেটার হিসেবে তিনি লেগ স্পিনার। তাই বিসিবি প্রেসিডেন্টের কাছেই তার আবদার ছিল, ‘যদি সুযোগ দিতেন’। বিসিবি প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ দুষ্টুমির ছলে সাবেক প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনকে খোঁচাটা ঠিকই দিয়ে দিলেন। দল নির্বাচনে যে নাজমুল হাসান জড়িয়ে থাকতেন, সেটা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন!
রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আসন্ন এনসিএল টি-টোয়েন্টির লোগো উন্মোচন হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানেই চিত্রনায়ক কিংবা ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সিয়ামের জাতীয় দলে খেলার সুযোগ চাওয়া প্রসঙ্গ এলে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমার আগের প্রেসিডেন্ট (নাজমুল হাসান পাপন) হলে নিশ্চিতভাবে তোমাকে (সিয়াম) ডাকত (জাতীয় দলে)। কারণ, দল নির্বাচনেও তার ভূমিকা থাকত।
Bangladesh won the series with Tanjid-Rishad's rampage
Student politics can resume if teachers-students want: BUET Vice-Chancellor
সাকিবকে গোপনে পাসপোর্ট দেওয়ার আয়োজন
তবে বিসিবির নতুন করে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ জাতীয় দল নির্বাচনে কোনো ভূমিকা রাখেন না জানিয়ে বলেন, ‘আমার দল নির্বাচনে তেমন কোনো অবদান নেই আসলে (হাসি)। আমি নির্বাচকদের বলতে পারি, তোমাকে দেখার জন্য। কিন্তু চাপ দিতে পারব না।
সিয়ামও তখন হাস্যোজ্জ্বল কণ্ঠে জানালেন, চাপের কোনো প্রয়োজনই নেই। তবে পুরো প্রোগ্রামের মূল উদ্দেশ্য স্থানীয় ক্রিকেটারদের টি-টোয়েন্টিতে আরও বেশি সম্পৃক্ত করা। সেই কাজে বিসিবিকে এবার সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক, ওয়ালটন ও রিমার্ক হারল্যান।
এক যুগের বেশি সময় পর জাতীয় লিগের সঙ্গে হতে যাচ্ছে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের টুর্নামেন্ট। ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটারদের বিপিএলের আগে ভালো প্রস্তুতি হিসেবে এই টুর্নামেন্ট কাজে দেবে বলে মনে করেন ফারুক আহমেদ, ‘আমার মনে হয় অনেক সহযোগিতা করবে। ১১ জনই দেশি থাকবে। এমন হতে পারে যে অনেক ছেলে এনসিএল লংগার ভার্সন খেলেছে বিপিএলে দল পেয়েছে বা পায়নি। কিন্তু, তারা যদি এই এনসিএল টি-টোয়েন্টি ভালো করে তাহলে সবার চোখে পড়বে। আমি মনে করি এক্ষেত্রে অনেক সহযোগিতা (এই টুর্নামেন্ট) করবে স্থানীয় ক্রিকেটারদের।’
টুর্নামেন্টটিতে অবশ্য জাতীয় দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটার থাকছেন না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ব্যস্ত থাকবেন তারা। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির দলের জন্য এটাকে বড় পাওয়া মনে করেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট। বলে রাখা ভালো, ২০১০ এনসিএলের সঙ্গে আলাদা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট, ২০১৩ বিজয় দিবস কাপ টি-টোয়েন্টি, ২০২০ বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপসহ প্রিমিয়ার লিগেও বেশ কয়েকবার টি-টোয়েন্টির দেখা মিলেছিল। কিন্তু সেটা কখনোই ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নিতে পারেনি বিসিবি। এবার নিজেদের অর্থায়নেই শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্টটিকে ধারাবাহিকতা দিতে চায় বিসিবি।