শোবিজ দুনিয়া থেকে রাজনীতির মঞ্চে মাঝে মাঝে ‘ভ্রমর’ হয়ে মধু খেতে আসতেন নানা তারকা—অভিনেত্রী, নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকারা। আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে বসতো তাদের মিলনমেলা। সেখানে ক্ষমতা বা ব্যক্তিগত সুবিধার আশায় তারা প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রীদের কাছে দারস্থ হতেন। কখনো এমপি পদে মনোনয়ন পেতে। আবার কখনো নিজস্ব রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গড়তে। এসব তারকারা রাজনীতি ও সমাজের অভ্যন্তরে তাদের প্রভাব বিস্তার করতেন।
খুবি শিক্ষার্থীদের সাথে বাস শ্রমিকদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া; সেনা, নৌ ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন
আটাশ পেরিয়ে উনত্রিশে চবি সাংবাদিক সমিতি
ভারতের সঙ্গে হাসিনার সব গোপন চুক্তি প্রকাশের দাবি হাসনাতের
রাজনীতির মাঠ থেকে বেডরুম—এমনই ছিল অনেক অভিনেত্রীদের অবাধ যাতায়াত। নানা সময়ে এরা ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগে সবার নজরে আসেন। এ অবস্থা নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। যারা রাজনীতিতে আসেননি। যেমন তারানা হালিম, সুবর্না মুস্তফা, মমতাজ বেগম, তারা বারবার নির্বাচিত হয়েছেন সংসদ সদস্য হিসেবে। তাদের পথ অনুসরণ করে, একে একে এমপি পদ পেতে মরিয়া হয়েছেন রিয়াজ, শাকিল, মৌসুমী, রোকেয়া প্রাচী, সুইটি, শমী কায়সার, জাহিদ হাসানদের মতো তারকারা।
এমনকি যখন যেই দল ক্ষমতায় এসেছে, তখন সে দলের সঙ্গেই সম্পর্ক তৈরি করে এসব তারকারা নিজেদের সাফল্যের চাবিকাঠি পেয়ে গেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের টিকিটে এমপি নির্বাচিত হন একসময়ের ছাত্রদলের নেতা ফেরদৌস। এমনকি কিছু তারকা, অভিনেতা। যারা কখনো রাজনীতি করেননি। তারা সরাসরি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন বা সরকারের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান তুলে ধরেন।
তারকারা রাজনীতির মাঠে তাদের পরিচিতি ব্যবহার করতে চেয়েছেন। তাদের অনেকেই এখন জনগণের প্রত্যাশার বিপরীতে ছিলেন। একসময় যেসব শিল্পীরা ব্যক্তিগত স্বার্থে দিনরাত এক করে রাজনীতি করেছিলেন। এখন তারা কোথায়? আজ তাদের খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।