কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের উপ-হাইকিমশন ঘেরাওয়ে বাধা দেওয়ায় উগ্রবাদী সংগঠন হিন্দু মহাসভার সদস্যরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এ ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস দেশদ্রোহিতার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর এটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে ভারতের উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠনগুলো।
ছাপানো টাকা দিয়েও সংকট মিটছে না ৬ ব্যাংকের
এবার মওলানা ভাসানীকে নিয়ে সিনেমা
মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ ৭
বৃহস্পতিবার হিন্দু মহাসভা কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন ঘেরাও করতে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় পুলিশের সঙ্গে হিন্দু মহাসভার সংঘর্ষ বাধে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, হিন্দু মহাসভার সদস্যরা যখন বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনের খুব কাছে পৌঁছে যায় তখন তাদের বাধা দেয় পুলিশ। ওই সময় হিন্দু মহাসভার বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন তাদের হামলায় এক পুলিশ সদস্য আহত হন। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
চিন্ময় দাস ইস্যু নিয়ে গত সোমাবার থেকেই ঝামেলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো। এতে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ভারতের সংসদ লোকসভায় পর্যন্ত আলোচনা হয়েছে। এছাড়া চিন্ময় দাস ও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বেড়ে যাওয়ার কথিত অভিযোগ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
চিন্ময় দাসকে মূলত গ্রেপ্তার করা হয়েছে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে। গত ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ মঞ্চ বন্দর নগরী চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চের মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপর চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ ওঠে।
এরপর গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময়সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় সেই মামলা দায়ের করেন ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এই মামলা করা হয়। এই ঘটনায় আগেই দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের নাম রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাস।