Dhaka, বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪

খালাসের রায় শুনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন বাবরের স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:০০ এএম
Bangla Today News

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামি খালাস পেয়েছেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এই রায় দেন।

রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের স্ত্রী তাহমিনা জামান সংবাদমাধ্যমকে বলেন,, দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর অবশেষে ন্যায় বিচার পেয়েছি। এ কারণে মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি শুকরিয়া জানাই, আলহামদুলিল্লাহ।

 

তিনি বলেন, ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় এতোদিন অপেক্ষা করা যে কী কষ্ট, তা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই বলতে পারবে। আদালত আমাদের ন্যায় বিচার দিয়েছেন। এর আগে ২১ নভেম্বর শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন হাইকোর্ট।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার একটি আদালত গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট জানান, মামলাগুলোর বিচারিক আদালতের রায় অবৈধ, কারণ তা অবৈধ উপায়ে দেওয়া হয়েছে।

অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি আবদুল হান্নানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে বিচারিক আদালত এই রায় দিয়েছে। হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেছে, মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির কোনো এভিডেনশিয়াল মূল্য নেই কারণ এটি জোর করে নেওয়া হয়েছিল এবং সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা যথাযথভাবে যাচাই করা হয়নি।

আইনজীবীরা জানান, বিচারিক আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে যেসব মামলার আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করতে পারেননি, তারা খালাসের হাইকোর্টের রায়ের সুবিধা পাবেন।

ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত ও আরও প্রায় ৩০০ জন আহত হন। এই ঘটনার পর মামলাগুলো দায়ের করা হয়।

Leave a comment