বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মূল কাজ হচ্ছে শিক্ষাদান ও গবেষণা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে চবি মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার একথা বলেন।
আজ (১১ ডিসেম্বর, ২০২৪) দুপুর ১২:০০ টায় চবি ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে লেকচার গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও মাননীয় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ কামাল উদ্দিন। চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকীর সভাপতিত্ব এবং সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চবি শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান ও সাধারণ সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর এ. বি. এম. আবু নোমান। অনুষ্ঠানে সমিতির বার্ষিক আয়-ব্যয় প্রতিবেদন পাঠ করেন সমিতির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলী আরশাদ চৌধুরী। এছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী।
6 cows of Brahma breed were seized from Sadiq Agro
Establishing unicorn startups in IT is the need of the hour
The Gazi Tire Factory fire is still not under control
চবি মাননীয় উপাচার্য চবি শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত এবং বিদায়ী নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, আমাদের আত্মসমালোচনার সুযোগ এসেছে, আমরা আত্মশুদ্ধি করি। তিনি চবি শিক্ষক সমিতির বিদায়ী নেতৃবৃন্দের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়জন শিক্ষকের কয়টি বই প্রকাশিত হয়েছে? আমরা কি সেদিকে কখনো লক্ষ্য করেছি! একাডেমিক কার্যক্রম তথা গবেষণার দিক দিয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি মন্তব্য করে তিনি বলেন, শিক্ষকদের মূল কাজ হচ্ছে শিক্ষাদান এবং গবেষণা। মাননীয় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ক্যারিয়ার জবসহ নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে গবেষণা করার জন্য সন্মানিত শিক্ষকদের আহবান জানান। একইসাথে মাননীয় উপাচার্য এ উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন তথা বিশ্ব র্যাংকিংয়ে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের গবেষণা, প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও একাডেমিক অন্যান্য কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আপলোড করার জন্য আহবান জানান।
চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, দলীয় শৃংখলা ও উদাসীনতার কারণে আমরা আজ অনেক পিছিয়ে আছি। তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাদের সন্তান-শিক্ষার্থীরা খুন হচ্ছে। তাদের প্রতি সমবেদনা জানানোর ভাষা কি আমাদের নেই ! তাদের প্রতি সমবেদনা না জানানো খুবই দুঃখজনক। একপেশী সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আমাদেরকে জনগণের কাতারে এসে ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে বর্তমান প্রশাসন বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি সহনশীল মনোভাব নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকদের নিয়মিত গবেষণাকর্ম অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন। তিনি আধুনিক বিশ্বে নব-নব চ্যালেন্জ মোকারেলায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগকে বিশ্বমানের বিভাগে রুপান্তরিত করার জন্য সন্মানিত শিক্ষকদের আহবান জানান।
মাননীয় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ কামাল উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান-গবেষণার তীর্থ স্থান। এ বিশ্বদ্যিালয়কে জ্ঞান-গবেষণায় এগিয়ে নিতে সন্মানিত শিক্ষকদের ভূমিকা প্রসংশনীয়।তিনি শিক্ষার্থীদেরকে আধুনিক ও যুগোপযোগী পাঠদানের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করে দেশ-জাতির কল্যাণে ভূমিকা রাখতে সম্মানিত শিক্ষকদের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুল হক, পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক জনাব তমা রাণী মিস্ত্রী এবং পবিত্র ত্রিপিঠক থেকে পাঠ করেন চবি ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. আনন্দ বিকাশ চাকমা