বাজারে সরবরাহ বাড়াতে এবং দাম সহনীয় রাখতে সরকার সয়াবিন তেলের আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট কমিয়েছে। একই সঙ্গে পাম, সানফ্লাওয়ার, ক্যানোলা তেলের ওপর ভ্যাট ও অগ্রিম কর কমানো হয়েছে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানিয়েছে, গতকাল (১৫ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত পৃথক ৩টি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।
A gust of 60 kmph is forecast in the districts by 1 am
The temperature of Bangladesh today is higher than the Middle East
গুলি করে হত্যার পর বাংলাদেশির লাশ ফিরিয়ে দিলো বিএসএফ
এতে বলা হয়েছে, সয়াবিনসহ বিভিন্ন তেলের ওপর ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্তটি সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে। ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
এ ছাড়া প্রজ্ঞাপনগুলোতে বলা হয়েছে, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত পাম তেল, অপরিশোধিত সানফ্লাওয়ার তেল, অপরিশোধিত ক্যানোলা তেলের ওপর আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশের অতিরিক্ত ভ্যাট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলে স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে। এ ছাড়া অপরিশোধিত সানফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা তেল এবং পরিশোধিত সানফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা তেলের আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম কর অব্যাহতি–সুবিধা পাবেন আমদানিকারকেরা।
এর আগে, গত ১৭ অক্টোবর ও ১৯ নভেম্বর জারি করা শুল্ক-করাদি অব্যাহতির প্রজ্ঞাপন দুটি সয়াবিন ও পাম ওয়েলের ক্ষেত্রে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রযোজ্য ছিল। ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং ভোক্তাসাধারণের জন্য ভোজ্যতেলের মূল্য সহনীয় রাখার উদ্দেশ্যে সয়াবিন ও পামতেলের পাশাপাশি এবার অপরিশোধিত ও পরিশোধিত সানফ্লাওয়ার তেল ও ক্যানোলা তেলের আমদানির ওপর বিদ্যমান শুল্ক-কর ও মুসক (মূল্য সংযোজন কর) কমানো হলো।
সয়াবিন ও পামতেলের সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বমুখী দর বিবেচনায় নিয়ে রমজান মাসে পণ্যটির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে নতুন প্রজ্ঞাপন তিনটির মেয়াদ আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ রাখা হয়েছে।
সানফ্লাওয়ার তেল ও ক্যানোলা তেলের কাস্টমস ডিউটি, রেগুলেটরি ডিউটি, আগাম কর ও অগ্রিম আয়কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করায় এবং মূল্য সংযোজন কর কমানোর ফলে এ সব তেলের আমদানি ব্যয় লিটার প্রতি ৪০-৫০ টাকা কমবে। এ সব ব্যবস্থার ফলে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে ও এতে বাজার মূল্য সর্বসাধারণের জন্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা যাবে বলে আশা করছে এনবিআর।