ভারতের আদানি মালিকানাধীন পাওয়ার প্লান্ট থেকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ আমদানি এক তৃতীয়াংশ কমেছে। ভারত সরকারের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের ১,৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার গড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে গত নভেম্বর মাসে এক তৃতীয়াংশ কম বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়েছে বাংলাদেশে।
খবরে বলা হয়, গত মাসে হঠাৎ করে বাংলাদেশে সরবরাহ কমিয়ে দেয় আদানি গ্রুপ। কারণ হিসেবে বকেয়া সংক্রান্ত বিরোধের কথা উল্লেখ করা হয়।
ইন্টারনেটের মেয়াদবিহীন প্যাকেজ চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
আফ্রিকায় কমনওয়েলথ কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের স্বর্ণজয়
2.2 billion people in the world do not have access to clean water: UN
প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্যে আদানিকে প্রায় ১৫ টাকা পরিশোধ করতে হয়। আদানি পাওয়ারের গোড্ডা প্ল্যান্ট, যা বাংলাদেশে তার উৎপাদিত বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্যে চুক্তি করেছিল। গত আগস্টে হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে বারো মাসে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ চাহিদার প্রায় ৯% আদানির কাছ থেকে আমদানি হচ্ছিল।
খবরে বলা হয়, আদানির সরবরাহ করা বিদ্যুতের মূল্য অন্যান্য বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর তুলনায় সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে আদানিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ মূল্যে ছাড় দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
শীতকালীন মৌসুমে বিদ্যুৎ চাহিদা কমলেও বাংলাদেশের বার্ষিক বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতির কারণে বাংলাদেশ জ্বালানি তেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নির্ভরতা বাড়িয়েছে।
নভেম্বর মাসে জ্বালানি তেলচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাকৃতিক গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদনও টানা পাঁচ মাসের হ্রাস শেষে ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। তবে কয়লাচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন টানা তৃতীয় মাসে হ্রাস পেয়েছে।