দেশের ৫৫টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৩টির নামই ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্যদের নামে। এর মধ্যে শেখ হাসিনার নিজের নামে দুটি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ৯টি, আর শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের নামে রয়েছে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বলছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিলে ভবিষ্যতে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন হতে পারে।
স্বাধীনতার পর গত ৫৩ বছরে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে ৫৫টি। যার প্রায় তিন ভাগের এক ভাগের নামকরণ হয় শেখ পরিবারের নামে। যা প্রতিষ্ঠা হয় বিগত সরকারের ১৫ বছর সময়কালে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ধরন আছে। যেমন- সাধারণ, মেডিকেল, মেরিটাইম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, এভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস, কৃষি, ডিজিটাল— মোট ৭ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। তার স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের নামে জামালপুর ও সিলেটে আছে আরও দুটি বিশ্ববিদ্যালয়। আর কন্যা শেখ হাসিনার নামে নেত্রকোণা ও খুলনায় আছে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে উ. কোরিয়ার ১১০০ সৈন্য হতাহত
সীমান্ত নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দীঘিনালায় এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামফলক থেকে মুছে ফেলা হয়েছে শেখ পরিবারের চিহ্ন। গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, নওগাঁ ও সিলেটে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামফলক থেকে শব্দ মুছে ফেললেই নাম পরিবর্তন হয় না। সাধারণত ইউজিসিতে আবেদনের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে সংসদে বিল আকারে পাশ হতে হয়।
কিশোরগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নায়লা ইয়াসমিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়। সরকারের সব সিদ্ধান্ত আমরা অনুসরণ করে থাকি। নাম পরিবর্তনে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিলে আমরা তা অনুসরণ করব।
তবে ইউজিসি বলছে, সব অংশীজন উদ্যোগ নিলে ভবিষ্যতে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, অনেকেই আমাদের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। সরকার যদি আমাদের কাছে মতামত চায় তখন অবশ্যই মতামত দেব। সরকারই এটি দেখাশোনা করবে। সঠিক সময়ে সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।