খাগড়াছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনে এক প্রার্থীকে আটকে শারীরিক নির্যাতন ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ, নিরাপত্তাহীনতায়
ভুক্তভোগী কাজী মো. মিজানুর রহমান: প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা :
স্বামীর কল রিসিভ না করা কাল হলো স্ত্রীর জন্য!
ঢাবির নিকাব পরিহিত ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তে নতুন পদক্ষেপ
‘মিত্র ছিলেন শত্রু হবেন না’, জামায়াতের উদ্দেশে ফারুক
বিগত ১২ ডিসেম্বর- ২০২৪ ইংরেজী তারিখের খাগড়াছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনী তফসিল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনী তফসীল ঘোষনার আবেদন জানিয়ে সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক,
বিভাগীয় সমবায় কর্মকর্তা ও খাগড়াছড়ি জেলা সমবায় কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেছেন ভুক্তভোগী কাজী মো. মিজানুর রহমান। প্রাপ্ত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কাজী মো. মিজানুর রহমান খাগড়াছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ১০৭ নং সদস্য। তিনি জানান, খাগড়াছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি লিমিটেড হতে তার নিকট ১ টি পত্র পাঠানো হয়, যার রেজি: নং-৫৯১। ওই চিঠিতে নির্বাচনী বিশেষ সাধারণ সভার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন এবং নির্বাচন আগামী ০৬ জানুয়ারী- ২০২৫ ইংরেজী তারিখ ঘোষনা করলে উক্ত তফসিলে ১২ ডিসেম্বর- ২০২৪ ইংরেজী তারিখে নির্বাচনী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের জন্য বলা হয়। উক্ত নির্বাচনী তফসীলের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এবং সমিতির অন্যান্য সদস্যরা নির্বাচনী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে গেলে বিগত ১২ ডিসেম্বর- ২০২৪ ইংরেজি তারিখ সকাল ১০ টায় কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির অফিস হতে জোড় পূর্বক ধরে নিয়ে খাগড়াছড়ি হোটেল মাউন্ট ইনের রুম নং- ২১৪ তে আটকে রেখে ভুক্তভোগীকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেন সমিতির সদস্য মো. শাহ জালাল, জসিম উদ্দিন, মো. নুরু, জাহিদুল ইসলাম, মো. সোহেল, মো. মনির ও মো. রাসেলন সহ অজ্ঞাতনামা দূর্বৃত্তরা। ওই কক্ষে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তাকে আটকে রেখে তার মোবাইল ফোন ও নগদ ৪৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। ঘটনার পর ভুক্তভোগী কাজী মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত অভিযুক্ত ৭ জনের নাম উল্লেখ করে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার ও খাগড়াছড়ি সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। একই সাথে অভিযোগ পাঠানো হয় সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশের আইজিপি, চট্টগ্রামের ডিআইজি সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে।
এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত বিবাদী- মো. শাহ জালাল ও জসিম উদ্দিন জানান, তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। ওইদিন কাজী মো. মিজানুর রহমানকে মারধর ও তার নগদ টাকা পয়সা ছিনতাই করা হয়নি।
এগুলো ষড়যন্ত্রমুলক। একটি পক্ষ এর নেপথ্যে জড়িত।
তবে ভুক্তভোগীর অভিযোগ সত্য বলছেন সমিতির আরও কয়েকজন সদস্য। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলছেন ঘটনার দিন বিবাদীদের ভয়ে আমরাও সেইদিন সমিতির ফরম সংগ্রহ করতে পারিনি। সমিতির অফিস থেকে পালিয়ে চলে আসতে হয়েছে। আমাদের উপরও হামলা করতে চেয়েছিল তারা।
আর অভিযোগের বিষয়ে খাগড়াছড়ি সদর মডেল থানার ওসি. আবদুল বাতেন মৃধা জানান, ভুক্তভোগী কাজী মো. মিজানুর রহমানের অভিযোগ পেয়েছি, পুলিশ সুপারও ঘটনার বিষয়টি অবগত আছেন। ভুক্তভোগীর অভিযোগ খানা গভীর ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।
ভুক্তভোগী কাজী মো. মিজানুর রহমান বর্তমানে তার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, বিবাদীগণের ভয়ে খাগড়াছড়িতে যেতে পারছেন না। এ বিষয়ে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।