Dhaka, মঙ্গলবার, জানুয়ারী ৭, ২০২৫

সুবাতাস বইছে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের পালে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১০:৫৬ এএম
Bangla Today News

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের গতিশীলতা সাম্প্রতিক সময়ে আশাব্যঞ্জক পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যদিও অতীতে পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা ও বিরোধ ছিল, বর্তমানে দুই দেশ একে অপরের প্রতি আস্থা এবং সম্মান বাড়ানোর প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে। দুই প্রতিবেশী দেশই একসাথে উন্নতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে সহযোগিতার প্রস্তাব দিচ্ছে, যা সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে।

 

সম্প্রতি ঢাকার সাথে দিল্লির সম্পর্কের ইতিবাচক পরিবর্তন স্পষ্ট হয়েছে, বিশেষ করে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক এবং কূটনৈতিক আদান-প্রদান এই পরিবর্তনের আশাব্যঞ্জক সঙ্কেত। ১ জানুয়ারি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ঘোষণা করেন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন—এই তিন শক্তির সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ঢাকার সাথে দিল্লির সম্পর্ক আরও বিস্তৃত হবে এবং কোনো একক ইস্যুতে আটকে থাকবে না।

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ নিয়ে কিছু সমস্যা থাকলেও, তৌহিদ হোসেন জানান, তাদের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলো ধাপে ধাপে সমাধান করা হবে। পরবর্তীতে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেন এবং ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেন।

ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি সম্প্রতি ঢাকা সফরকালে দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করার এবং বাণিজ্য ও কানেকটিভিটি বৃদ্ধির জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও অগ্রসর বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন জোর দিয়েছেন।

এছাড়া, দুই দেশের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্কের এক উদাহরণ হিসেবে, ৫ জানুয়ারির মধ্যে ৯৫ ভারতীয় মৎস্যজীবীকে বাংলাদেশ থেকে ফেরত পাঠানো হবে, এবং ভারতীয় খাদ্যপণ্যও বাংলাদেশে সরবরাহ করা হচ্ছে। গত ডিসেম্বরে ২৪,৬৯০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল বাংলাদেশে পৌঁছেছে, যা দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ইঙ্গিত।

ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সম্পর্কের উন্নতির ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলো সামনে রেখে সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, পরিবর্তিত রাজনৈতিক বাস্তবতায় ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভর করবে, যেমন অর্থনৈতিক স্বার্থ, ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নিরাপত্তা উদ্বেগ।

Leave a comment