বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনরা সঠিক ভাবে দেশ পরিচালনা করুন। আপনারা মাঝে মাঝে বিভিন্ন দোহাই দেন যে সিন্ডিকেটের হাত পরিবর্তন হয়েছে, চাঁদাবাজির হাত পরিবর্তন হয়েছে, টেন্ডারবাজির হাত পরিবর্তন হয়েছে। আমরা তো আপনাদেরকে দোহাই দিতে আনি নাই। আমরা আপনাদের এনেছি এসবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। এখন যে হাত চাঁদাবাজি করবে, সে হাত ভেঙে দেওয়া হবে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির লিফলেট বিতরণ শেষে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে জনসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে চবি মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের দিনব্যাপী আয়োজন
চবির ডিবেটিং স্কুলের থিমেটিক বিতর্ক কর্মশালা শুরু
নেতাকর্মীদের নতুন যে নির্দেশনা দিল বিএনপি
এসময় তিনি আরো বলেন, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রক্লামেশন অফ জুলাই রেভ্যুলেশন ঘোষণা করতে হবে। ৩১ ডিসেম্বরের পর এতগুলো দিন পেরিয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ দেখতে না পাইনি। জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের আর্তনাদ আমরা এখনো শুনতে পাই। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দোহাই দিয়ে তাদের সুবিধাপ্রাপ্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দোহাই চলবে না।
হাসনাত আরো বলেন, বর্তমান সরকার ৫ ই আগস্টের পর থেকে আহত ও নিহতের পরিবারের যথাযথ দায়িত্ব নেওয়ার উচিত ছিলো। অথচ সরকারের এই বিষয় এখনো উদাসীন। এই সরকারের আমলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় শহীদ ও আহত পরিবাররা বঞ্চনা শিকার হচ্ছে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কুমিল্লার মানুষ সর্বপ্রথম আন্দোলন শুরু করেছে। হাসিনার নির্ঘুমের কারণে ছিল এই কুমিল্লার জনগণ। এই কুমিল্লা থেকে সবসময় ফ্যাসিবাদের প্রতিধ্বনি আওয়াজ উঠেছে। কুমিল্লা থেকে এর ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকবে। এর আগে কুমিল্লা পুলিশ লাইন থেকে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শুরু করে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় হয়ে রাজগঞ্জ বাজার মোগলটুলি হয়ে আবারো কান্দিরপাড়ে এসে শেষ হয়।
এসময় জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।