গত বছরের ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই নানা কারণে প্রতিবেশি দেশটির সাথে টানাপড়েন চলছে কূটনৈতিক সম্পর্কে। এবার বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সব বাংলাদেশিকে ভারত থেকে বের করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির শিবসেনা এমপি সঞ্জয় রাউত। খবর হিন্দুস্তান টাইমস ও এএনআই।
মুম্বাই পুলিশের তথ্যমতে, বলিউড তারকা সাইফ আলি খানের ওপর হামলাকারী একজন বাংলাদেশি। এমন ঘোষণার পর ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে সোমবার এ দাবি করেন এই শিবসেনা এমপি।
প্রাইভেট ক্লিনিকে প্রায়শই রোগী মৃর্ত্যুর ঝংকার বেজে উঠে - সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরব
স্বামীর কল রিসিভ না করা কাল হলো স্ত্রীর জন্য!
যশোরে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ
সঞ্জয় রাউত বলেন, ভারত থেকে সব বাংলাদেশিকে তাড়িয়ে দেওয়া উচিত। এটা শুরু হওয়া উচিত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়ে। যাকে এ দেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।
সাইফ আলি খানের ওপর হামলাকারী সম্পর্কে প্রশ্ন রেখে সঞ্জয় রাউত বলেন, কে বলেছে তিনি বাংলাদেশি? বিজেপি? তারা দাবি করছে সাইফ আলি খানের ওপর হামলা একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র কী? একজন অভিনেতার ওপর ছুরি দিয়ে হামলা হয়েছে। তার নেপথ্যের রহস্য কী, জনগণকে সত্যটা বলা উচিত। যদি হামলাকারী বাংলাদেশি হন, তাহলে এর জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার। এটা অমিত শাহের দায় এবং এজন্য তার পদত্যাগ করা উচিত।
সঞ্জয় রাউত আরও বলেন, সব বাংলাদেশিকে ভারত থেকে বের করে দেওয়া উচিত। আর এটা শুরু হওয়া উচিত শেখ হাসিনাকে দিয়ে। তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তারা শুধুই আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন।
তিনি বলেন, যখনই আমরা পার্লামেন্টে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই, তখনই বিজেপি আমাদের থামিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে তারা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কথা বলে। এর কারণ, মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল নির্বাচন।
গত ১৬ জানুয়ারি বান্দ্রায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হন জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান। এ সময় তার ঘাড়ে ও মেরুদণ্ডে ছুরিকাঘাত করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি।
সাইফ আলি খানের ওপর ছুরি হামলার অভিযোগে মুম্বাই পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম শেহজাদকে আটক করে রিমান্ডে নিয়েছে। পুলিশ বলেছে, তার বাড়ি বাংলাদেশের ঝালকাঠিতে। কিন্তু শেহজাদের আইনজীবীর দাবি, তিনি বাংলাদেশি নন, ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে মুম্বাই পুলিশ।