ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী
স্বামীর কল রিসিভ না করা কাল হলো স্ত্রীর জন্য!
স্ত্রী নয়, ভাইজানের চাই শুধু সন্তান
বাউফলে তরমুজের ট্রলার ডাকাতি, আহত ৯
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোতে নেই কোন উন্নত চিকিৎসা। রোগ নির্ণয়ে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে আধুনিক যন্ত্রাংশের বড় অভাব। প্রায়শই রোগী মৃর্ত্যুর ঝংকার বেজে উঠে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাশিনতায় প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সংখ্যা।
উপজেলার চারঘাট বাজার এলাকায় ব্যাংকের ছাতার মতো ছড়িয়ে রয়েছে অপরিকল্পিত ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার। চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্র করেই ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার গুলোর ব্যবসার মূল লক্ষ্য। চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নামে ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক পক্ষ ব্যবসা করছে। তারা স্থানীয় কিছু অদক্ষ নারী ও পরুষকে দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের তার্গেট করেই চলে ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ব্যবসা।
চারঘাট উপজেলার ৬টি ইউনিয়নসহ পাশর্^বর্তী উপজেলার অনেক সাধারন মানুষ আসেন এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসকদের কাছে। ওই সময় উপজেলার ১৭টি ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের নারী ও পুরুষ দালালরা চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বিভিন্নভাবে মগজধোলায় করে নিয়ে যায় তাদের ক্লিনিকে। তারপর শুরু হয়ে যায় অর্থ উপার্জনে নানা কলা কৌশল। ক্লিনিকে ভালো কোন চিকিৎসক না থাকলেও প্যারমেডিকেল পাশ করা অনেকেই বড় ডাক্তার হয়ে যায়। ফ্লিম স্টাইলে চলে তাদের অভিনয়। সিজারিং সহ বিভিন্ন ধরনের অপারেশন করা হয় ওই সকল ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে। প্রায়শই প্রসূতি মায়ের সিজারিং করতে গিয়ে শিশুকে মেরে ফেলে কখনও কখনও মা ও শিশু উভয়ের মৃর্ত্যুরর খবর পাওয়া যায়। তবে স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক প্রভাবে অর্থের বিনিময়ে বিষয় গুলো রফদফা করা হয়। অসহায় ও গরীবদের ভাগ্যে ক্ষতিপূরনের অর্থটাও বাটোয়ারাতে কমতে থাকে। এমনটাই বক্তব্য দিয়েছেন উপজেলা স্বান্থ্য কমপ্লেক্স চিকিংসা সেবা নিতে আসা রোগীরা।
শনিবার সকালে উপজেলার ১৭টি ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের খবর নিয়ে যানা জায়, এদের অনেকে অর্থ ও রাজনৈতিক লবিং দিয়ে সনদ নিয়েছে। তবে কিছু সংখ্যক ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের আবেদন করা হয়েছে বলে জানান মালিক পক্ষ। এসকল ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নেই কোন ভালো মানের চিকিৎসক, নার্স, ল্যাব সহকারীসহ বিভিন্ন ডায়াগনষ্টিক টেকনিশিয়ান। এছাড়া ক্লিনিক মান নির্ণয়ে রয়েছে অনেক জটিলতা।
প্রসঙ্গত, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পঃ পঃ কর্মকর্তা মোঃ তৌফিক রেজা বলেন, গত ১১ ডিেিসম্বর ২৪ তারিখে তিনি এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেছেন। প্রতিনিয়িত তিনি পূর্বের জমাট বাধাঁ সমসা গুলো সমাধানের চেষ্টা করছেন। আইন শৃঙ্খলা সভায় চলমান অনেক সমস্যা নিয়ে আলোকপাত করা হয়। তবে ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে চলামান সমস্যা গুলো সমাধানের জন্য প্রশাসনের জোরাল ভূমিকা নেয়া দরকার। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নতুল ফেরদৌস বলেন, আইনের বাহিরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। নীমনীতির যারা তোয়াক্কা করবে না তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।